gramerkagoj
শুক্রবার ● ১০ মে ২০২৪ ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj

❒ মণিরামপুর উপজেলা নির্বাচন নিয়ে টার্গেট ১০ লাখ

আনসারদের ডিউটির টাকায় কর্মকর্তাদের থাবা!
প্রকাশ : শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪, ০৯:৫২:০০ পিএম , আপডেট : শুক্রবার, ১০ মে , ২০২৪, ১২:০৪:৪৬ এ এম
জাহাঙ্গীর আলম, মণিরামপুর (যশোর):
GK_2024-04-27_662d1fbc4c0ce.jpg

যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় নির্বাচনী ডিউটি পাইয়ে দেয়ার নামে আনসার-ভিডিপি সদস্যদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে টাকা। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে দশ লাখ টাকা বাণিজ্যের টার্গেটে প্রতিজন সদস্যর কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে পাঁচ থেকে সাতশ’ টাকা। সংস্থার প্রতিটি ইউনিয়নের কমান্ডার এবং প্রশিক্ষক (টিআই) ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। এ নিয়ে আনসার-ভিডিপি সদস্যদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।
মণিরামপুর উপজেলায় আনসার-ভিডিপির প্রায় দুই হাজার সদস্য রয়েছেন। আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে মোট ভোট কেন্দ্র রয়েছে একশ’ ৬৫টি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতিটি কেন্দ্রে ১২জন করে আনসার ও ভিডিপি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী প্রতিজন আনসার সদস্যের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে তিন হাজার দুইশ’ টাকা। এই টাকা পরিশোধ করা হবে ভিডিপি কার্যালয়ের মাধ্যমে। ইতিমধ্যে কারা কারা ভোট কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করবেন তার তালিকা প্রস্তত করা হচ্ছে। এর দায়িত্বে রয়েছেন উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের প্রশিক্ষক (টিআই) ফারুক হোসেন। তিনি প্রায় একমাস আগে থেকে এই তালিকা তৈরির কাজ করছেন।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, ফারুক হোসেন ভোটের ডিউটির তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে সদস্যদের কাছ থেকে মোট দশ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার টার্গেটে কাজ শুরু করেছেন। এজন্যে তিনি উপজেলার মোট ৯০ জন কমান্ডারকে দায়িত্ব দিয়েছেন। এসব কমান্ডার প্রতি সদস্যের কাছ থেকে পাঁচ থেকে সাতশ’ টাকা করে ডিউটি বাবদ আদায় করছেন। প্রশিক্ষক ফারুক হোসেন প্রতি গ্রুপের (১২ জন) নাম চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে কমান্ডারদের কাছ থেকে চার হাজার টাকা করে আদায় করছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের কয়েকজন জানিয়েছেন, টিআই ফারুক হোসেনকে কমান্ডারদের মাধ্যমে টাকা আদায়ের দায়িত্ব দিয়েছেন উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা জেসমিন সুলতানা।
কয়েকজন আনসার সদস্য জানান, এবার ভোটে দায়িত্ব পালনের জন্য তালিকাভুক্ত হতে ইউনিয়ন কমান্ডারদের মাধ্যমে অফিসারকে পাঁচ থেকে সাতশ’ করে টাকা দেয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে আদায় টাকার পরিমাণ হয় ১০ লাখের বেশি। তারা বলেন, গতবারের উপজেলা নির্বাচনের চেয়ে এবার ভাতা বেশি দেয়া হবে বলে উৎকোচের টাকা আগেভাগেই পরিশোধ করতে হয়েছে।
প্রশিক্ষক (টিআই) ফারুক হোসেন ভোটের ডিউটির তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য টাকা আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘স্যারের নিদের্শে অফিস খরচের জন্য কিছু টাকা নেওয়া হচ্ছে, অতিরিক্ত টাকা নয়।’
উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা জেসমিন সুলতানা বলেন, ‘টাকা নেওয়ার অভিযোগ আমার জানা নেই। তবে যদি কেউ অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেন তাহলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আরও খবর

🔝