শিরোনাম |
এক সময় মুবালি চুড়ুত কইরে আওয়াজ হলি মনে কত্তাম টাকা আইয়েচে। কারন পেত্তম যকন মুবাল কিনিলাম তকন কনে কি আচে যিডাও জানতাম না। এক ভাইপো টিপে টাইপে আমারে এট্টু শিকোয় পড়ায় দিলো। তকন কাড ঘইষে টাকা পুত্তি হইতো। টাকা ফোনে ঢুইকে গেলি চুড়ুত কইরে আওয়াজ হইতো। এই আওয়াজডা মুখস্ত করিলাম। তকন ম্যাসেজ কি জিনুস জানতাম না। তাই চুড়ুত আওয়াজ হলিই টাকা আইয়েচে ভাইবে আল্লাদে আটখান হইয়ে পড়তাম। আর একন এই চুড়ুত চুড়ুত আওয়াজে জীবন পয়মাল হওয়ার জুগাড়। দিনির মদ্দি ইরাম আনকা ম্যাসেজ আসতিই থাকে। মাজেমদ্দি তো ম্যাসেজে হ্যারেজ খাইয়ে যাওয়ার জুগাড়। পিরায় ম্যাসেজ আসে তারা আমার জন্যি হালাল পাত্রী আর বিয়ের সব আনজাম কইরে দেবে শুদু তাইগের সাতে যুগাযোগ কল্লিই হবে। ভাগ্যেস বাড়ির লোক ম্যাসেজ খিয়াল করে না। তা না হলি ফেবিকলের আঠা মাইরেও সুংসার জুড়া দিয়া যাইতো কিনা সন্দোহ। ম্যাসেজের সাতে একন হালি কইরে আবার যোগ হইয়েচে মুবালি কল আসা। অমুক জিনুস কেনবো কিনা, তমুক জিনুস দরকার কিনা। সেদিন যিরাম এক টাকা জমানোর অফার দিয়া ব্যাংক না বীমা কুম্পানী যেন আমারে মুবালি কল কইরে এক মাইয়ে কোকিল কণ্ঠে সালাম কালাম দিয়ে আস্তের আস্তের কতা উসায়েচে। এত অংকের টাকা এত বচর ধইরে জমালি কাচা টাকা পাইকে যাবে তকন মিয়াদ শেষে ডবল লাভ পাবো। ইডা সিডা আরো কতো মিটেমিটে অফার। আমি যত পাশ কাটাতি চাই তত প্যাচায় গা বাইয়ে ওটে। আমারে ম্যালা কিস্তির ম্যালা অফার দিচ্চিল আমি তারে বিনয় কইরে কলাম, আপনি তো ম্যালা সুযোগ সুবিধের কতা কলেন আমারে কি এট্টা কতা কওয়ার সুযোগ দেবেন। ও পাশতে কলেন কন কি কতি চাচ্চেন। আমি কলাম আমার বয়েস একন ভাটিতি। ককন আইগোয় যাওয়ার ডাক আসে তার কোন উদ্দিস নেই। সেই ভয়তে কাচা কলা পন্তিক কিনে পাকায় খাওয়ার আশা করিনে স্যানে আপনার বচরের পর বচরের জমায়ে টাকা পাকানোর অফার আমার সাজে? ব্যস অমনি লাইনডা দেলে কাইটে। আমি বুজ পাইনে এই সব কুম্পানীর কাচে আমাদের মতোন মানসির মুবাল নম্বর কিডা দেয়। পরে শুনলাম টাকা দিয়ে মুবাল কুম্পানীর কাচেত্তে তাইগের এলেকা ভিত্তিক নম্বর যে কেউ কিনে নিতি পারে। কি সব্বোরাশে কতা কওদিনি বাপু। গাটির টাকা খচ্চা কইরে সিম কিনি আমরা, টাকা পুড়ায়ে কতা কই, নেট ঘুটি, আর আমাগের নম্বর উরা বেচার খিডা ! আলাম কনে, মলাম যে !
ইতি
অভাগা আক্কেল চাচা