gramerkagoj
রবিবার ● ৫ মে ২০২৪ ২১ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
দেশে খাদ্য ঘাটতি নেই : এলজিআরডি মন্ত্রী
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল , ২০২৪, ০৪:১৩:০০ পিএম , আপডেট : শনিবার, ৪ মে , ২০২৪, ০৭:৩৮:৩৪ পিএম
ঢাকা অফিস:
GK_2024-04-25_662a1ca3de3d4.jpg

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, খাদ্যশস্য উৎপাদনে নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়েছে। উপর্যুপরি বন্যা, খরা ও ঘূর্ণিঝড়, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে অনেক মোকাবেলা করতে হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খাদ্যসংকট দেখা দিলেও বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতি নেই।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ‘১২তম আন্তর্জাতিক কৃষি প্রযুক্তি মেলা ২০২৪’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এই মেলা চলবে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ) কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগ অধ্যাপক ড. মো. মঞ্জুরুল আলম।
তাজুল ইসলাম বলেন, কৃষি সকল দেশের জন্য আদিখ্যাত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। জিডিপির জন্য যে-সব সেক্টরগুলো আমদের আছে প্রোডাক্টিভ সেক্টর, অ্যাগ্রিকালচার সেক্টর ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেক্টর। এই সেক্টরগুলো না হলে সার্ভিস সেক্টর প্রমোট হবে না। মানুষের যেমন দুইটি পা আছে, ঠিক তেমনি জিডিপির দুইটি পা হল অ্যাগ্রিকালচার ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেক্টর। গোলবালি ম্যাজিক বর্তমানে হল সার্ভিস সেক্টরের কন্ট্রিবিউশনে জিডিপি যত বেশি হবে, সে দেশ ততো বেশি উন্নত।
এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আমরা (আওয়ামী লীগ) যখন প্রথম সরকার গঠন করে তখন দেশে অনেক খাদ্য ঘাটতি ছিল। তখন ২০ মিলিয়নের নিচে খাদ্য উৎপাদন হতো। মানুষ খাদ্যের জন্য হাহাকার করত। তখন আমরা খাদ্য আমদানির উপর নির্ভর ছিলাম। সময়ের ব্যবধানে আমরা প্রায় চার কোটি টনের বেশি খাদ্য উৎপাদন করি। খাদ্য বলতে আমরা চাল উৎপাদন করছি। গত ১৫ বছরে আমাদের আমদানি করতে হয় নাই। ১৯৯৬ সালে তখন আমরা ৮০ টাকার সার ২০ টাকায় বিক্রি করছি। সে সময় সারের দাম ও কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ের শুল্ক কমানো হয়।
তিনি আরও বলেন, ১৯৯৬ সালে দেশে ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো। আজকে দেশে ২৭ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। শহরের লোডশেডিং করেছি কিন্তু গ্রামে কৃষি কাজে জন্য লোডশেডিং মুক্ত রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। এর কারণে বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনের ঘাটতি সম্পূর্ণ মুক্ত করতে পেরেছি।
অনুষ্ঠানে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ সিনিয়র সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগমের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, প্রতিমন্ত্রী মো. আব্দুল ওয়াদুদ, লিমরা ট্রেড ফেয়ারস্ অ্যান্ড এক্সিবিশনস্ (প্রা.) লিমিটেড চেয়ারম্যান কাজী ছারোয়ার উদ্দিন, পল্লী উন্নয়ন একাডেমী বগুড়া, মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. খুরশীদ ইকবাল রেজভী প্রমুখ।

আরও খবর

🔝