gramerkagoj
মঙ্গলবার ● ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj

❒ দেশে তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

সদর, বাঘারপাড়া ও অভয়নগরে ভোট ২৯ মে
প্রকাশ : বুধবার, ১৭ এপ্রিল , ২০২৪, ১০:২৭:০০ পিএম
ঢাকা অফিস:
GK_2024-04-17_661ff8f297239.JPG

তৃতীয় ধাপে দেশের ১১২টি উপজেলা পরিষদে ২৯ মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এবারের ধাপে যশোর সদর, অভয়নগর ও বাঘারপাড়ায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এসব উপজেলায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে বা অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ২ মে পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৫ মে, প্রত্যাহারের শেষ সময় ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৩ মে। নির্বাচনী প্রচার শেষে ২৯ মে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ চলবে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাধারণ নির্বাচন হবে এসব উপজেলায়। ২১টি উপজেলায় ভোট হবে ইভিএমে ও বাকিগুলোয় ব্যালটে।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে কমিশন সভায় তৃতীয় ধাপের নির্বাচনের তফসিল চূড়ান্ত করা হয়। পরে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বিস্তারিত দিনক্ষণ জানান।
দেশে বর্তমানে ৪৯৫টি উপজেলা রয়েছে। এবার চার ধাপে নির্বাচন উপযোগী ৪৮৫টিতে ভোট হবে, পরে মেয়াদোত্তীর্ণ হলে বাকিগুলোয় ভোটের আয়োজন করবে নির্বাচন কমিশন।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৮ মে ১৫০ উপজেলায়, দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে ১৬১ উপজেলায় ও তৃতীয় ধাপে ২৯ মে ১১২টি উপজেলায় ও চতুর্থ ধাপের ভোট হওয়ার কথা রয়েছে ৫ জুন।
আইনে দলীয় প্রতীকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে ভোট করার সুযোগ থাকলেও স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বা মনোনয়ন না দেওয়ার কথা আগেই জানিয়ে রেখেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ নেতাদের নির্বাচন করতে হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে।
নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে নির্বাচন পরিচালনা বিধি ও আচরণ বিধি সংশোধন করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার পথ সহজ করেছে। এতদিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে ২৫০ জন ভোটারের সমর্থনসূচক স্বাক্ষরের যে তালিকা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হত, এখন তা দিতে হচ্ছে না। সেই সঙ্গে সাদাকালোর সঙ্গে রঙিন পোস্টারও ছাপাতে পারবেন প্রার্থীরা। ভোটের প্রচারের সময়ও পাচ্ছেন বেশি। তবে জামানতের পরিমাণ বেড়েছে এবার।
চেয়ারম্যান পদে জামানতের পরিমাণ ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা করা হয়েছে। ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামানত ৫ হাজার টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৭৫ হাজার টাকা।
১৯৮৫ সালে উপজেলা পরিষদ চালু হওয়ার পর ১৯৯০ ও ২০০৯ সালে একদিনেই ভোট হয়েছিল। ২০১৪ সালে চতুর্থ উপজেলা নির্বাচন ছয়টি ধাপে ও ২০১৯ সালে পাঁচ ধাপে পঞ্চম উপজেলা পরিষদের ভোট হয়।
প্রথম চারটি উপজেলা নির্বাচন নির্দলীয়ভাবে হলেও আইন সংশোধন হওয়ায় ২০১৭ সালের মার্চে মেয়াদোত্তীর্ণ তিনটি উপজেলায় দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হয়েছিল। পরে ২০১৯ সালে দলীয় প্রতীকে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন হয়।
দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলেও বিএনপি পরে নির্দলীয় উপজেলা ভোটে অংশ নিয়েছিল। গেল ১০ বছর ধরে উপজেলা ভোটে দলীয় প্রার্থী দেয়নি দলটি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জন করার পর এবার স্থানীয় নির্বাচনেও অংশ নিচ্ছে না বিএনপি।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অনলাইনে মনোনয়পত্র জমা দেওয়ার বিধান থাকায় মনোনয়নপত্রের প্রিন্ট কপি দেওয়া লাগবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইতোমধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের ভোটের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র জমার সময় শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে ১৬১ উপঝেলায় ২১ এপ্রিল এবং তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২ মে পর্যন্ত মনোনয়ন জমার সময় রয়েছে।
বুধবার নির্বাচন কমিশন সব রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারদের এক নির্দেশনায় বলেছে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বাধ্যতামূলকভাবে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের বিধান করা হয়েছে।
“অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের পর কোনো কোনো জেলা/উপজেলায় বিধি বহির্ভূতভাবে মনোনয়নপত্রের প্রিন্ট কপি প্রার্থীর কাছে হতে চাওয়া হচ্ছে। এভাবে বিধি বহির্ভূত প্রিন্ট কপি প্রদানে বাধ্য না করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। তবে বিধি অনুযায়ী বাছাইয়ের সময় হলফনামার মূল কপি অথবা কোনো তথ্য বা কাগজপত্র অপূর্ণ থাকলে তা দিতে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে অবহিত করা যেতে পারে। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় প্রার্থী বা প্রস্তাবকারী, সমর্থনকারী অথবা প্রার্থী কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির উপস্থিতির সুযোগ থাকলেও তা বাধ্যতামূলক নয়।
তৃতীয় ধাপে যেসব উপজেলা পরিষদে নির্বাচন হচ্ছে যেগুলো হলো, খুলনা বিভাগের যশোর সদর (ইভিএম), অভয়নগর (ইভিএম) ও বাঘারপাড়া (ইভিএম), বাগেরহাট জেলার শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ ও মোংলা। খুলনা জেলার কয়রা, পাইকগাছা ও ডুমুরিয়া। সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া ও সদর।
ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ, নীলফামারী সদর। দিনাজপুর জেলার খানসামা, সদর ও চিরিরবন্দর। লালমনিরহাট সদর। রংপুর জেলার গংগাচড়া ও সদর। কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী, ভুরুঙ্গামারী ও নাগেশ্বর। গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর ও সুন্দরগঞ্জ।
রাজশাহী বিভাগের বগুড়া জেলার শাজাহানপুর, সদর ও শিবগঞ্জ। নওগাঁ জেলার আত্রাই ও রাণীনগর। রাজশাহী জেলার পবা ও মোহনপুর। নাটোর জেলার গুরুদাসপুর ও বড়ইগ্রাম। সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর (ইভিএম) ও চৌহালী (ইভিএম)। পাবনা জেলার সদর (ইভিএম), আটঘরিয়া (ইভিএম) ও ঈশ্বরদী (ইভিএম)। বরিশাল জেলার গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া। পটুয়াখালী জেলার সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকি। পিরোজপুর জেলার মঠবাড়ীয়া (ইভিএম) ও ভান্ডারিয়া (ইভিএম)। ভোলা জেলার তজুমদ্দিন ও লালমোহন। ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া। বরগুনা জেলার বামনা ও পাথরঘাটা।
মানিকগঞ্জ জেলার সদর (ইভিএম) ও সাটুরিয়া (ইভিএম)। ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা ও সদরপুর। শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা (ইভিএম) ও গোসাইরহাট (ইভিএম)। নরসিংদী জেলার শিবপুর ও রায়পুরা। টাঙ্গাইল জেলার সদর, দেলদুয়ার ও নাগরপুর। মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান ও শ্রীনগর। কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা, তাড়াইল, করিমগঞ্জ ও মিঠামইন। ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া, ঈশ্বরগঞ্জ ও ত্রিশাল। জামালপুর জেলার মেলান্দহ (ইভিএম) ও মাদারগঞ্জ (ইভিএম)। নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ, মদন ও খালিয়াজুড়ী।
সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক ও দোয়ারা বাজার। সিলেট জেলার বালাগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার। মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল। হবিগঞ্জ জেলার লাখাই, সদর ও শায়েস্তাগঞ্জ।
চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ ও বাঞ্ছারামপুর। কুমিল্লা জেলার বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া, মুরাদনগর ও দেবীদ্বার। চাঁদপুর জেলার কচুয়া (ইভিএম) ও ফরিদগঞ্জ (ইভিএম)। ফেনী জেলার সোনাগাজী, সদর, দাগনভূঞা। নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ, সদর ও কোম্পানীগঞ্জ। লক্ষ্মীপুর জেলার সদর। চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা, বোয়ালখালী, পটিয়া ও চন্দনাইশ। কক্সবাজার জেলার উখিয়া (ইভিএম), টেকনাফ (ইভিএম) ও রামু (ইভিএম)। খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি। রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ার চর, লংগদু ও বাঘাইছড়ি।

আরও খবর

🔝