gramerkagoj
বৃহস্পতিবার ● ৯ মে ২০২৪ ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
চট্টগ্রামের পটিয়ায় হাসপাতালের চিকিৎসককে মারধর
প্রকাশ : শুক্রবার, ১২ এপ্রিল , ২০২৪, ০২:১১:০০ পিএম
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
GK_2024-04-12_6618e1b03e242.jpg

চট্টগ্রামের পটিয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসা দিতে দেরি হওয়ার অভিযোগে হাসপাতালে এক চিকিৎসককে মারধর করার ঘটনা ঘটেছে। আহত ডা. রক্তিম দাশ শরীর ও মাথায় আঘাত পেয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্তলাল সেনের নির্দেশে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে হাসপাতালে যান চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী।
তারা মারধরের শিকার চিকিৎসকসহ হাসপাতালের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।
এ ঘটনায় হাসপাতালের ভাইস চেয়ারম্যান এস এইচ খাদেমী ৫ জনকে এজাহারনামীয় ও ১০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে পটিয়া থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ সৈয়দকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন- মোহাম্মদ রুবেল, মোহাম্মদ মুকুল, মোহাম্মদ টিপু, রফিক হাসান।
অভিযোগে বলা হয়, বুধবার রাত পৌনে ১১টায় পৌরসভা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল্লাহ পলাশকে (৪২) আহত অবস্থায় পটিয়া জেনারেল হসপিটালে আনা হয়। এ সময় জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত ডা. রক্তিম তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অপারেশন রুমে পাঠান। অপারেশন রুমে যেতে দেরি হওয়ায় ডা. রক্তিমকে হাসপাতালে মারধর করা হয় এবং বিভিন্ন সরঞ্জাম ভাংচুর করা হয়।
ডা. রক্তিম দাশ বলেন, ওই রোগীর ঠোঁট এবং থুতনিতে কেটে গিয়ে রক্ত ঝরছিল। নার্সকে ফার্স্ট এইড দিয়ে রক্তক্ষরণ বন্ধ করার নির্দেশ দিই। এরপর মাথায় আঘাত আছে কি না তা নিশ্চিত হতে এক্স-রে করতে পাঠাই। এক্সরে করে আসার পর সেলাইয়ের জন্য ওটিতে পাঠাই। এসময় নিজের কক্ষে আরও চারজন রোগী দেখছিলাম। ওটিতে যেতে দেরি হচ্ছে কেন, সে অভিযোগ তুলে তারা আমাকে মারধর করেছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ সৈয়দ দাবি করেন, চিকিৎসকের অবহেলার কারণে তর্ক হয়েছে। মারধর করা হয়নি।
সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, কয়েকজন রোগী দেখে ওটিতে যেতে চিকিৎসকের ১০ মিনিটের মতো দেরি হয়েছিল। তাই একজন পলিটিক্যাল লিডারের নেতৃত্বে চিকিৎসককে মারধর করা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে লিখিত প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।
পটিয়া থানার ওসি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ছৈয়দের নেতৃত্বে হাসপাতালে ঢুকে চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে’।

আরও খবর

🔝