শিরোনাম |
সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশে মাদ্রাসার ছাত্র মারফ হাসানকে অপহরণের ৭ দিনের মাথায় সেপটিক ট্যাংক থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মারুফ হাসান ঝুড়ঝুড়ি গ্রামের মোশাররফ হোসেনের ছেলে। সে সলঙ্গা থানার একটি মাদ্রাসার পাঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। এ ঘটনায় জড়িত অপহরণকারী চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের ঝুড়ঝুড়ি বাজার এলাকায় তালুকদার মার্কেটের সেপটি ট্যাংক থেকে মরদেহটি উদ্ধার হয়।
এর আগে গত ৫ এপ্রিল নিজ গ্রাম ঝুড়ঝুড়ি বাজার থেকে মারুফকে অপহরণ করা হয়।
নিহত মারুফের পরিবার ও পুলিশ সূত্র জানায়, মারুফ হাসান ঈদের ছুটিতে ঝুড়ঝুড়ি গ্রামে নিজ বাড়িতে যায়। গত ৫ এপ্রিল বিকেল ৩টায় সে পাশ্ববর্তী বাজার থেকে নিখোঁজ হয়। ওই দিনই মারুফ হাসানের বাবা মো. মোশারফ হোসেন তাড়াশ থানায় নিখোঁজের বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর থেকেই পু্লিশ, র্যাবসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রযুক্তির সহায়তায় তৎপরতা চালায়।
অবশেষে র্যাব-১২ পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। অভিযুক্তরা জানান, মারুফকে তারা হত্যা করেছেন এবং তার পরিবারের কাছে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছেন। তাদের দেওয়া তথ্য মোতাবেক আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে সেপটিক ট্যাংক থেকে মারুফের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম গ্রামের কাগজকে বলেন, আজ ভোরে র্যাব সদস্যরা ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের দেখানো মতে সকালে ঘটনাস্থল থেকে মারুফের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১২ অধিনায়ক মো. মারুফ হোসেন গ্রামের কাগজকে বলেন, অভিযুক্তদের আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় কে কে সম্পৃক্ত আছেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিস্তারিত কিছু জানানো সম্ভব হচ্ছে না।