gramerkagoj
বৃহস্পতিবার ● ৯ মে ২০২৪ ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj

❒ স্কুলছাত্র মোয়াজ্জেম হত্যা

জয়পুরহাটে ২১ বছর পর ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড
প্রকাশ : বুধবার, ৩১ জানুয়ারি , ২০২৪, ০৪:৫৬:০০ পিএম
জয়পুরহাট সংবাদদাতা:
GK_2024-01-31_65ba17a57278e.jpg

জয়পুরহাট সদর উপজেলায় নবম শ্রেণির ছাত্র মোয়াজ্জেম হত্যা মামলার ২১ বছর পর রায় ঘোষণা করেছে আদালত। রায়ে ১১ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন।
বুধবার দুপুরে ঢাকাটাইমসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, জয়পুরহাট শহরের দেওয়ান পাড়া মহল্লার মৃত ইউনুস আলী দেওয়ানের ছেলে বেদারুল ইসলাম বেদিন, একই মহল্লার মোহাম্মদ আলী মোখলেসারের ছেলে মনোয়ার হোসেন মনছুর, ওয়ারেছ আলীর ছেলে টুটুল, আজিজ মাস্টারের ছেলে রানা, শান্তিনগর মহল্লার শাহজাহান মৃধার ছেলে সরোয়ার রওশন সুমন, আরাফাত নগর মহল্লার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মশিউর রহমান এরশাদ, তেঘর বিশার কাবেজ উদ্দীন মণ্ডলের ছেলে নজরুল ইসলাম, দেবীপুর কাজী পাড়ার মৃত মগবুল হোসেনের ছেলে শাহী, একই মহল্লার রফিকের ছেলে সুজন, নুর হোসেন নুমুর ছেলে রহিম, পার্শ্ববর্তী নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার ধুরইল আবুল কাশেমের ছেলে ডাবলু।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে বেদারুল ইসলাম বেদিন, নজরুল ইসলাম, টুটুল, সুজন, রহিম ও ডাবল পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০২ সালের ২৮ জুন বিকালে জয়পুরহাট শহরের প্রামাণিকপাড়ার ফজলুর রহমানের ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। সেদিন আসামিরা মোয়াজ্জেমকে চিত্রা সিনেমা হল এলাকা থেকে তুলে নিয়ে যান। এরপর ভিটি এলাকায় একটি কবরস্থানের পাশে মোয়াজ্জেমকে আসামিরা ধারালো অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করেন। পরে জামালগঞ্জ রোডের একটি আম গাছের নিচে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যান। পরে ঘটনার দিন রাতে হাসপাতালে নেওয়া হলে মোয়াজ্জেম মারা যায়। এঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে পরের দিন সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর তদন্তকারী কর্মকর্তা মাহবুব আলম ২০০৩ সালের ২৯ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত আজ এ রায় দেন।

আরও খবর

🔝