gramerkagoj
বৃহস্পতিবার ● ৯ মে ২০২৪ ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
কুড়িগ্রাম-২ আসনে জাফর আলীকে প্রার্থী হিসেবে চায় তৃণমূল আ. লীগ
প্রকাশ : শুক্রবার, ১০ নভেম্বর , ২০২৩, ১১:৩৮:০০ এ এম
আজিজুল হক, কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা:
GK_2023-11-10_654dc44e1a47e.jpg

কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগ এর এক উজ্জ্বল নক্ষত্র আলহাজ্ব মোঃ জাফর আলী, তিনি আধুনিক কুড়িগ্রামের রুপকার নামে পরিচিত। আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে বদলে গেছে কুড়িগ্রাম জেলার উন্নয়নের চিত্র। কুড়িগ্রাম জেলার উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কাজ করছেন জাফর আলী। তার ব্যবহারে মুগ্ধ জেলার সর্বস্তরের মানুষ। কুড়িগ্রাম জেলায় সকল শ্রেনী পেশার মানুষের আস্থা রয়েছে তার উপর।
তার রাজনৈতিক জীবন শুরু কুড়িগ্রাম জেলার সদর উপজেলার কাঠালবাড়ী ইউনিয়নের শিবরাম গ্রামে। বাবা মৃত কনছার উদ্দিন ব্যাপারী ও মা মৃত জাহিরন নেছার স্বপ্ন, ছেলে অনেক বড় সরকারী কর্মকর্তা হবে কিন্তু বাল্যকাল থেকে অঘাত দেশপ্রেমের মানুষটি যোগ দেন রাজনীতিতে, সদ্য স্বাধীন হওয়া দেশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে যোগ দেন দেশ পুর্নগঠনের কাজে। নির্বাচিত হন কাঁঠালবাড়ী ওয়ার্ডের রিলিপ কমিটির সদস্য ১৯৭২-৭৩ ইং, অত্যন্ত সততা ও দক্ষতার সহিত তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেন এবং সবার প্রশংসা অর্জন করেন। এর পর আমৃত্য রাজনীতি করার শপথ নিয়ে কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন ১৯৭৩-৭৪ পর্যন্ত। এরই মধ্য কুড়িগ্রাম কলেজ ছাত্র সংসদের” জিএস”এর দায়িত্ব পালন করেন ১৯৭৩-৭৪ ইং,কুড়িগ্রাম কলেজের ভিপি নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন ১৯৭৪-৭৫ ইং, মহকুমা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন ১৯৭৪ ইং সনে।
কুড়িগ্রাম সদর থানা আওয়ামীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন ১৯৭৮ সনে এবং একই বছর কর্মদক্ষতায় মহকুমা আওয়ামীগের সদস্য নির্বাচিত হন। কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ১৯৮৪ সালে এবং একই সাথে কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামীগের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হন। কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন ১৯৯০ সালে, অদ্যাবধি জেলার একক,অপ্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন ১২ ডিসেম্বর ২০১৯ সাল পর্যন্ত এবং বর্তমানে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আলহাজ্ব মোঃ জাফর আলী জনগনের সুখ-দুঃখের স্বপ্নের সারথি, বিপদে-আপদে পাশে থেকে মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর নিরন্তন প্রচেষ্টাই তাকে বার বার জনগনের বিজয় মাল্য পরিয়েছে। কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের বিরতিহীন ভাবে ৫ বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসাবে ১৯৮৩ সালের ডিসেম্বর হতে ২০১০ সালের ৬ এপ্রিল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে কুড়িগ্রাম জেলা তথা দেশে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
২০১০ সালের ২ এপ্রিল জাতীয় সংসদের ২৬ কুড়িগ্রাম ২ আসনে স্বাধীনতার পর নৌকা প্রতীকে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ৮ই এপ্রিল সংসদ সদস্য হিসাবে মহান সংসদে শপথ গ্রহন করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ২০২১,ডিজিটাল বাংলাদেশ ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে কুড়িগ্রামে নজিরবিহীন উন্নয়ন করেন যার ফলে কুড়িগ্রাম জেলার অর্থনৈতিক মানচিত্র বদলে যায়। ২০১৩ সালে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আহবানে নিশ্চিত বিজয় জেনেও সরে দাঁড়ান নির্বাচন থেকে। শক্ত হাতে মোকাবেলা করেন বিএনপি জামায়াতের দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র ও ধব্বংসাত্ব রাজনীতিকে। বিএনপি জামায়াতের হাত থেকে জনগনের জান মাল রক্ষা সদা সতর্ক থাকার এবং তাদের তান্ডবলীলা মুক্ত করে কুড়িগ্রাম জেলায় শান্তির সুবাতাস প্রবাহিত করার অবদান স্বরুপ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আলহাজ্ব মোঃ জাফর আলীকে ২০১৬ সালে জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসাবে নির্বাচিত করে। তার পর জেলা পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীগের একক প্রার্থী হিসাবে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে পর পর দুই বার দল মতের উর্ধে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে। ২০২০ সালে করোনা মহামারিতে ঘরে থাকতে পারেননি, প্রায় প্রত্যেকদিন সরকারি, বেসরকারি এবং ব্যক্তিগত ত্রান সামগ্রী নিয়ে মানুষের পাশে দাড়াচ্ছেন। সরকারের অর্পিত দায়িত্ব অধ্যাবধি সুনামের সহিত পালন করে যাচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের দুর্ভেদ্য ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল থেকে শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা দাবী তুলেছেন জাফর আলীর পক্ষে। স্থানীয় গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জাফর আলী’কে এমপি হিসেবে সংসদে দেখতে চেয়ে রীতিমত ঝড় তুলছেন তারা।আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নতুন প্রজন্মের নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, জেলার অত্যন্ত আস্থাভাজন ও তাদের সুখ-দুঃখের অংশীদার হিসেবে জাফর আলীকে আগামী সংসদ নির্বাচনে এমপি হিসেবে দেখতে চায়। কুড়িগ্রামের উন্নয়ন ও স্থানীয় রাজনীতিকে যেভাবে সুসংগঠিত করে সাজিয়েছেন এবং নেতা-কর্মীদের আস্থা অর্জন করেছেন সেখানে জাফর আলীর বিকল্প কোন প্রার্থী নাই।
এব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ রকিকুজ্জামান রাকিব বলেন, জাফর আলী একজন পরিপুর্ণ আওয়ামী রাজনীতিবিদ। এই রাজনৈতিক নেতা দিনের ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১৮ ঘণ্টাই রাজনীতি ও সাধারণ মানুষের পেছনে ব্যয় করেন। স্থানীয় জনগণ তাকে সব সময়েই কাছে পায়। তাই স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীগণ এমন একজন কর্মীবান্ধব নেতাকেই এমপি হিসেবে পেতে চায়। তিনি আরো বলেন একজন যোগ্য নেতা হিসেবে জনগণের সাথে রয়েছে তার যথেষ্ঠ সম্পৃক্ততা। তিনি একজন ন্যায় বিচারক।
ফুলবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সমাপাদক ও সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হরুন-অর-রশিদ বলেন, জাফর আলী হচ্ছেন মাটি ও মানুষের নেতা। একদম তৃণমূল থেকে কিভাবে দলকে সু-সংগঠিত রাখতে হয়। কিভাবে তৃণমূলের একজন নেতা-কর্মীর মন জয় করা যায় এসব গুণাবলী তার মধ্যে বিদ্যমান। জেলাবাসী তাদের নেতা হিসেবে ঘুরেফিরে তাকেই সবসময় কাছে পায়। তাই তার প্রতি সাধারণ জনগনের বড় রকমের একটা আস্থা তৈরী হয়েছে। এ আস্থা থেকেই এলাকাবাসী তাকে এমপি হিসেবে পেতে চায়।
কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদ (রাজার হাট উপজেলা ৫ নং ওয়ার্ডের) সদস্য মোঃ এনামুল হক জানান, জাফর আলী একজন সাংগঠনিক ও নিরহংকারী স্পষ্টবাদী ভালো মনের মানুষ। রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধি হিসাবে তিনি অন্যদের চেয়ে একটু ব্যতিক্রম প্রকৃতির পরোপকারী মনের একজন মানুষ। কুড়িগ্রাম-২ সংসদীয় আসনে বর্তমান সময়ে তার মত একজন পরোপকারী সৎ যোগ্য প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এমপি হিসাবে দায়িত্ব পেলে সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে দেশের ও সাধারণ জনগণের স্বার্থে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন তিনি।

আরও খবর

🔝