gramerkagoj
বুধবার ● ১ মে ২০২৪ ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj
ইসরায়েলকে সহায়তা দেয়ায় জর্ডানে বিক্ষোভ
প্রকাশ : বুধবার, ১৭ এপ্রিল , ২০২৪, ১০:০৪:০০ পিএম
সম্পাদকীয়:
GK_2024-04-17_661ff3520121c.jpg

মুসলিম বিশ্ব যখন পুরোপুরি ইসরাইলের বিপক্ষে, এমনকি অনেক অন্য ধর্মাবলম্বী দেশের মানবতাবাদী জনগণ যখন গাজায় মানুষ বাঁচাতে রাস্তায় নেমেছে, তখন শীর্ষ মুসলিম রাষ্ট্র সৌদী আরব আর জর্ডান ইসরাইলের পক্ষ নিয়েছে। তবে এতে জনরোষ বাড়ছে। ইরানি সামরিক বাহিনী গত ১৩ এপ্রিল রাতে ইসরায়েলে তিন শতাধিক ড্রোন ও মিসাইল হামলা করেছে। এই ড্রোন ও মিসাইল যেন ইসরায়েল পর্যন্ত না পৌঁছায় সেই চেষ্টা করেছিল জর্ডান। তবে জর্ডান সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে আমাদের জনগণ ও জনবহুল এলাকার জন্য হুমকিস্বরূপ ছিল বলে আত্মরক্ষার জন্য এটি করেছে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জর্ডানের নাগরিকেরা তাদের সরকারের এমন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করেছেন। হুসেইন নামে দেশটির একজন রাজনৈতিক অ্যাক্টিভিস্ট বলেন, ‘জর্ডান যেভাবে ইসরায়েলকে রক্ষা করেছে তাতে আমি খুবই বিরক্ত।’
বিপদের আশঙ্কা থাকায় তিনি তার পুরো নাম উল্লেখ করতে চাননি। তিনি বলেন, ‘এখানকার অনেকেই এটা মেনে নিচ্ছে না। আমরা ইরানকে সমর্থন করি না এবং গাজায় এখন যা ঘটছে তার পেছনে ইরানের বড় ভূমিকা আছে বলে মনে করি। কিন্তু গাজায় ইসরায়েলের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করে এমন যে কোনও পদক্ষেপের সঙ্গে আমরা আছি।’ মারিয়াম নামে আম্মানের এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বলেন, ‘জর্ডানে ইরানের জনপ্রিয়তা নেই। কিন্তু আমি ইরানের নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র জর্ডানের বাধা দেওয়া ও অনিচ্ছাকৃতভাবে এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া প্রত্যাখ্যান করি।’
আম্মানের সামরিক বিশ্লেষক মাহমুদ রিদাসাদ বলেন, সপ্তাহান্তে যে ঘটনা ঘটেছে তাকে ‘কখনও ইসরায়েলকে রক্ষার জন্য করা হয়েছে তেমনটা বলা যাবে না, বরং জর্ডানের সার্বভৌমত্ব এবং আকাশসীমা রক্ষার জন্য করা হয়েছে’। কারণ, ড্রোন বা মিসাইল কোথায় পড়বে তা জানা যায় না বলে মন্তব্য করেন তিনি। এদিকে জর্ডান সহায়তা করেছে বলে ইসরায়েলের গণমাধ্যমে খুশির খবর প্রকাশ সম্পর্কে রিদাসাদ বলেন, ‘এটা ইসরায়েলের প্রোপাগান্ডা ছাড়া কিছু নয়।’ ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও জর্ডানের মধ্যে একটি প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি সই হয়েছিল। কিন্তু এক্ষেত্রে জর্ডানের সংসদের অনুমোদন নেওয়া হয়নি বলে সমালোচনা রয়েছে। এই চুক্তির আওতায় মার্কিন সামরিক বাহিনীর সদস্য, পরিবহন ও বিমান বাধা ছাড়াই জর্ডানে ঢুকতে ও ঘুরে বেড়াতে পারবে। প্রশ্ন একটাই, মুসলিম বিশ্ব বলে কি কিছু আছে?

 

আরও খবর

🔝