gramerkagoj
বুধবার ● ১ মে ২০২৪ ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
gramerkagoj

❒ যশোর জেলা ফুটবল রেফারি অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন

হারুন-বাচ্চু-মিঠু পরিষদের সংবাদ সম্মেলন
প্রকাশ : বুধবার, ১৭ এপ্রিল , ২০২৪, ০৭:২৯:০০ পিএম
ক্রীড়া সংবাদ:
GK_2024-04-17_661fdb5ea9bf2.JPG

দুর্নীতিমুক্ত স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক যশোর জেলা ফুটবল রেফারি অ্যাসোসিয়েশন গঠনের লক্ষ্য বুধবার বিকেল চারটায় প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে হারুন-বাচ্চু-মিঠু পরিষদ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিষদের সহসভাপতি পদপ্রার্থী খুরশিদ মোঃ জাকির হোসেন। তিনি বর্তমানে দায়িত্বে থাকা কমিটির বিপক্ষে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও অসহযোগিতার বিষয় তুলে ধরে তাদের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বর্তমান কমিটি নির্বাচিত হয়ে অঙ্গীকার করেছিলেন সকল ভেদাভেদ ভুলে সকল সদস্যদের মতামত নিয়ে অ্যাসোসিয়েশন পরিচালিত করবেন। কিন্তু এসবের কোন প্রতিফলন দেখা যায়নি। বর্তমান কমিটির বিপক্ষে যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন ও সহযোগিতা করেছেন তাদেরকে অ্যাসোসিয়েশন নিয়ন্ত্রিত ফুটবল ম্যাচ পরিচালনার সুযোগ দেওয়া হবে না বলে প্রকাশ্যে দেন। যার প্রতিফলন ঘটে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনায় আন্তঃউপজেলা অনূর্ধ্ব-১৭ বালক ও বালিকা ফুটবল প্রতিযোগিতায়। যোগ্যতা সম্পন্ন রেফারি থাকার পরও নন কোয়ালিফাই রেফারি নিয়ে খেলা পরিচালনা করা হয়।
ফুটবল রেফারি অ্যাসোসিয়েশন এর মাদার সংগঠন জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। এই সংস্থা রেফারি অ্যাসোসিয়েশনের কাছে রেফারি চাইলে তারা রেফারি সরবরাহ করতে বাধ্য। কিন্তু বর্তমান কমিটির কাছে মাদার সংগঠন রেফারি চাইলেও তারা লিগের খেলার শুরুর আগের দিন রাতে রেফারি দিতে সক্ষম নয় বলে ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে চিঠি প্রদান করেন। এর ফলে উদীয়মান রেফারিরা খেলা পরিচালনার যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন।
শুধু তাই নয়, রেফারি সমিতির সহসভাপতি শহিদুর রহমানের স্বাক্ষর জাল করে বেশ কয়েকজন রেফারিকে শোকজ ধরিয়ে দেওয়া হয়। শহিদুর রহমান সহসভাপতি পদে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও বর্তমান কমিটির পক্ষ থেকে তার স্বাক্ষর জাল করে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়।
বিভিন্ন সময়ে খেলার নামে রেফারিদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন বর্তমান কমিটি। যার কোন হিসাব আজও দাখিল করা হয়নি। প্রশাসনের মাধ্যমে প্রাপ্ত ১০০ বস্তা ও দুই টন চাউল পেলেও তা রেফারিদের মধ্যে বিতরণ না করে বিক্রি করা হয়েছে। বিক্রিকৃত চাউলের অর্থ সমিতির ফান্ডে জমা করা হয়নি। নির্বাচন কমিশন তাদের সাথে পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ করছেন বলে অভিযোগ করে জানান, এই নির্বাচন কমিশন তাদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারেনি। তারা একটি পক্ষকে সুবিধা দিতে মিশনে নেমেছে। এই অবস্থা একটি সংগঠনের জন্য কখনই সুখকর নয়। সংস্থার এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য হারুন-বাচ্চু-মিঠু পরিষদে ভোট প্রদানের আহবান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে হারুন-বাচ্চু-মিঠু পরিষদের সহসভাপতি প্রার্থী হারুন উর রশিদ, সম্পাদক প্রার্থী এ বি এম শাহীদুল ইসলাম বাচ্চু, যুগ্ম সম্পাদক প্রার্থী হুমায়ূন কবির, কোষাধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম মিঠু, দপ্তর সম্পাদক সালাউদ্দিন দিলু, সদস্য সুভাষ চন্দ্র মন্ডল, সাইফুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, শসাঙ্ক ঘোষ, মহিতোষ কুমার ঘোষ, বশির আহমেদ, সাবু জোয়ার্দ্দার উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর

🔝