শিরোনাম |
যশোরে অস্ত্র-গুলিসহ রাজধানী ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারি বাপ্পি ওরফে মোহাম্মদ আলী ওরফে ফিরোজ আলম ওরফে আহসান হকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে থানায় মামলা হয়েছে।
আসামিরা হলেন সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার উত্তর পারুলিয়া গ্রামের রমজান আলীর ছেলে বর্তমানে ঢাকার ডেমরা থানাধীন বাদশা মিয়ার রোডের বসতবাড়ি এলাকার পঞ্চম তলার একটি ভবনের ডি-৪ ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়া বাপ্পি, যশোর শহরের খড়কি হাজামপাড়ার মৃত রবিউল ইসলামের ছেলে আবু খালিদ সাইফুল্লাহ ওরফে বোমারু রিপন এবং পাবনার বেড়া উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের মোহাম্মদ আবুল কাশেম মোল্লার ছেলে বর্তমানে ঢাকার আশুলিয়া থানাধীন আশুলিয়া জামগড়া মোল্লাপাড়া বাজারের জনৈক শরীফ চৌধুরীর বাড়ির ভাড়াটিয়া কামরুল হাসান।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগ ডিবি’র সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের এসআই আমিনুল ইসলাম গত রোববার রাতে যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেছেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৭ জুন ভোরে যশোর শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের একটি বাড়ি থেকে উল্লিখিত তিন মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়। এর মধ্যে আটক বাপ্পির কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগজিন এবং সাত রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
আটকদের মধ্যে বাপ্পির বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকের ১১টি মামলা, বোমারু রিপনের বিরুদ্ধে যশোর কোতয়ালি থানায় অস্ত্র, বিস্ফোরক ও চুরির সাতটি মামলা এবং কামরুলের বিরুদ্ধে ঢাকা ও মানিকগঞ্জের বিভিন্ন থানায় মাদকসহ মোট আটটি মামলা রয়েছে।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, আটক বাপ্পির স্বীকারোক্তিতে ঢাকার ভাড়া ফ্ল্যাট থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, চারটি ম্যাগজিন ও ১৪৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ঢাকার সংশ্লিষ্ট থানায় পৃথক মামলা করা হয়েছে।
যশোর কোতয়ালি থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন জানান, আটকদের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় অস্ত্র আইনে মামলা হওয়ায় তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে যশোরে নিয়ে আসা হবে।