শিরোনাম |
❒ ট্রাম্পকে ইরানের কঠোর হুঁশিয়ারি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে কড়া ভাষায় বিবৃতি দিয়েছেন ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) মুখপাত্র। শনিবার এক রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “চোখ খুলুন এবং অপ্রাসঙ্গিক ও বিক্ষিপ্ত আচরণ বন্ধ করুন।”
আইআরজিসি মুখপাত্র ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে “বেহুদা” এবং “পরাজয়ের হতাশা থেকে উৎসারিত” বলে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, ১২ দিনের যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের বিশাল ব্যর্থতা এই বক্তব্যের পেছনে কাজ করছে।
তার ভাষায়, “আজকের দিনটি ইরানের জন্য একটি ঐতিহাসিক ও নির্ধারক দিন। শহীদদের স্মরণে আয়োজিত রাজকীয় জানাজা থেকে একটি শক্ত বার্তা গিয়েছে শত্রুদের উদ্দেশে—জাতীয় ঐক্য, সম্মান এবং প্রতিরোধের অসাধারণ প্রদর্শনী।”
আইআরজিসি মুখপাত্র বলেন, “১২ দিনের যুদ্ধে ইসরাইলের ধ্বংসাত্মক পরাজয় ট্রাম্পকে ভারসাম্যহীন করে তুলেছে, যার ফলস্বরূপ তিনি লাগামহীন প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন।”
তিনি আরও যোগ করেন, “ইসরাইলি দখলদার শাসন ও ট্রাম্প—কেউই তাদের ঘোষিত লক্ষ্য পূরণ করতে পারেনি। ইরানের পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এখন তেল আবিবে অস্তিত্ব সংকট তৈরি করেছে।”
আরও পড়ুন...
গাজায় ৬৬ শিশুর মৃত্যুতে বিশ্ববিবেক স্তব্ধ
চার বছর পর বকেয়া অর্থ পেলেন লিওনেল মেসি
মুখপাত্র বলেন, “ট্রাম্প বুঝতে পারছেন না যে ইরানের প্রকৃত শক্তির উৎস কোথায়। ইসলামি বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতা যা বলেছেন, সেটাই যথার্থ—‘তিনি এমন কথা বলেন, যা তার মুখ ধারণ করতে পারে না।’”
তিনি আরও বলেন, “ট্রাম্প ভেবেছেন ভিত্তিহীন কথাবার্তার মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে ইরানের বিজয়ের ভাবমূর্তি পরিবর্তন করা যাবে, কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন।”
গত ১৩ জুন থেকে শুরু করে টানা ১২ দিন ইসরাইল ইরানের সামরিক, পারমাণবিক ও আবাসিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এরপর ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের নাতানজ, ফরদো ও ইসফাহান পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালায়।
এর জবাবে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর এরোস্পেস ফোর্স ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস ৩’-এর অংশ হিসেবে ইসরাইল অধিকৃত অঞ্চলে ২২টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যার ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এই সংঘর্ষের পর ২৪ জুন থেকে কার্যকর হওয়া একটি যুদ্ধবিরতিতে পরিস্থিতি আপাতত স্থির রয়েছে।
একইদিন এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেন, “যদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সত্যি কোনো সমঝোতা চান, তাহলে তাকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির প্রতি অবমাননাকর ও অগ্রহণযোগ্য ভাষা ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “খামেনেইয়ের কোটি কোটি অনুসারীর হৃদয়ে আঘাত করা বন্ধ না করলে কোনো আলোচনার সুযোগই থাকবে না।”