শিরোনাম |
দরপত্রের মাধ্যমে চূড়ান্ত চার প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রতি লিটার ১৬১ টাকায় তেল কেনার সিদ্ধান্ত; বাজার স্থিতিশীল রাখতেই বড় পদক্ষেপ
দেশের ভোজ্যতেল বাজারে স্থিতিশীলতা আনার লক্ষ্যে সরকার স্থানীয় চারটি কোম্পানির কাছ থেকে এক কোটি ১০ লাখ লিটার পরিশোধিত রাইস ব্রান তেল কেনার অনুমোদন দিয়েছে। প্রতি লিটার ১৬১ টাকা দরে এই তেল কিনতে সরকারের মোট ব্যয় হবে ১৭৭ কোটি ১০ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার (১৩ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নতুন ভবনের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় স্থানীয় উন্মুক্ত দরপত্র (Open Tendering Method - OTM) পদ্ধতিতে রাইস ব্রান তেল কেনার প্রস্তাব উপস্থাপন করলে সরকারি ক্রয় উপদেষ্টা কমিটি তা যাচাই-বাছাই শেষে অনুমোদন দেয়।
দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির (TEC) সুপারিশ অনুসারে রেসপনসিভ ও সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে নির্বাচিত হয় চারটি প্রতিষ্ঠান। এদের কাছ থেকেই পরিশোধিত তেল কেনা হবে।
সরকারি অনুমোদনের পর নিচের প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে নির্ধারিত পরিমাণে তেল কেনা হবে:
মজুমদার প্রোডাক্ট লিমিটেড – ৫০ হাজার লিটার
তামিম অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ – ২০ হাজার লিটার
প্রধান অয়েল মিলস – ২০ হাজার লিটার
গ্রিন অয়েল অ্যান্ড পোলট্রি ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ – ২০ হাজার লিটার
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ভোজ্যতেল বাজারে চাহিদা-জোগানের ভারসাম্য বজায় রাখা এবং অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধিরোধে এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
রাইস ব্রান তেল একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প, যার কোলেস্টেরল কমানোর বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সাধারণত এটি চালের কুচির থেকে উৎপাদিত হয় এবং দেশে এর উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো হলে আমদানিনির্ভরতা কমবে।
এই ক্রয় কার্যক্রম বাস্তবায়িত হলে দেশে রাইস ব্রান তেলের জোগান বৃদ্ধি পাবে, যার ফলে ভোজ্যতেল বাজারে চাপ কিছুটা কমবে বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা। পাশাপাশি কৃষিভিত্তিক শিল্প ও স্থানীয় উৎপাদকরাও উৎসাহিত হবেন।
সরকারি ক্রয় নীতির আওতায় নেওয়া এই পদক্ষেপ একদিকে যেমন বাজারে তেলের সরবরাহ বাড়াবে, অন্যদিকে স্থানীয় শিল্পখাতের বিকাশেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
এ ধরনের স্বচ্ছ ও কার্যকর উদ্যোগ দেশের খাদ্য ও পণ্য নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে বিশ্ববাজারে পণ্যমূল্য অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে।