gramerkagoj
শুক্রবার ● ২৩ মে ২০২৫ ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
gramerkagoj
শিরোনাম
শিরোনাম যে আমলে গুনাহ ঝরে শীতের পাতার মতো পাটগ্রামে ধান কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দিনমজুরের মৃত্যু বদরগঞ্জে বিদ্যুতের তার চুরির চেষ্টা করতে গিয়ে যুবকের বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যু সিরিজ খেলতে রোববার পাকিস্তানের উদ্দেশে রওনা দেবে টাইগাররা রাজাপুরে জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রবাসীর বসতঘরে দুর্বৃত্তদের আগুন, ক্ষতি প্রায় ১০ লাখ টাকা সীমান্তে গরু চোরাচালানে সেনাবাহিনী ও বিজিবি পরিচয়দানকারী ২ প্রতারক গ্রেপ্তার কাঁঠালিয়ায় শিক্ষার্থীকে জুতা দিয়ে মারধরের অভিযোগে প্রধান শিক্ষককের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন গুরুতর অসুস্থ নুসরাত ফারিয়া, রয়েছেন চিকিৎসকের নিবিড় পর্যবেক্ষণে পদত্যাগ করছেন না ড. ইউনূস হতাশার রাত নেইমারের : সান্তোসের বিদায়, ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা
রবীন্দ্র রচনায় কোথাও নারীদের বিজয়ী দেখানো হয়নি: ডিসি যশোর
প্রকাশ : শুক্রবার, ৯ মে , ২০২৫, ০৯:৩৫:০০ পিএম
কাগজ সংবাদ:
GK_2025-05-09_681e219d8e8f1.jpg

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে প্রাচ্যসংঘ যশোর মিলনায়তনে আলোচনা সভা, কবিতা আবৃত্তি ও সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে যশোরের জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম প্রধান অতিথি ছিলেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন যশোর জিলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকতা আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুর ই আলম সিদ্দিকী ও প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন।
প্রাচ্যসংঘ যশোরের সভাপতি কাসেদুজ্জামান সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন প্রাচ্যসংঘের প্রতিষ্ঠাতা লেখক, গবেষক, কবি ও সাংবাদিক বেনজীন খান। উপস্থিত ছিলেন প্রাচ্য আকাদেমির অধ্যক্ষ আশরাফ হোসেন, সুপ্রিম কাউন্সিল সদস্য আখতার ইকবাল টিয়া এবং প্রেসক্লাব যশোরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান কবির।
জেলা প্রশাসক বলেন, বাংলা সাহিত্যের প্রতিটি অঙ্গণে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবাধ বিচরণ ছিল। যে সময়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাহিত্যকর্ম সম্পাদন করেছিলেন সেই সময়টা ছিল পুরুষ শাসিত সমাজ। পুরুষরা সমাজকে ডোমিনেট করতো। কিন্তু কোন একটি জায়গায় সেই পুরুষরাও ডোমিনেট হতো। তাই নারীরা ছিল বন্দীর কাছে বন্দী। আর এ কারণেই গোটা রবীন্দ্র রচনায় কোথাও নারীদেরকে বিজয়ী হিসেবে দেখানো হয়নি। শেষ পর্যন্ত পুরুষের জয়কেই বড় করে দেখা হয়েছে।
বক্তারা বলেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর সমগ্র রচনায় ধর্মীয় সীমাবদ্ধতা থেকে বের হতে পারেননি। তার সমগ্র রচনায় ভারতীয় মুসলিম শাসন ব্যবস্থার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় না। তিনি এক
ঈশ্বরবাদী ছিলেন। তিনি তাঁর লেখনিতে সেই সমাজ ব্যবস্থার প্রতিফলন বেশি করে ঘটিয়েছেন। তাঁর লেখনিতে শেষ দিকে সুফি ঘরোনার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। যা তিনি এই বাংলার অচ্ছুত কবি, দার্শনিক ও গ্রাম্য গেয়ো সাহিত্যিক কবিয়ালদের কাছ থেকে গ্রহণ করেছিলেন।
বক্তারা বলেন, বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশে যেভাবে বিশ্ব কবিকে নিয়ে আড়ম্বরতা করা হয়েছে সেভাবে আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে করা হয়নি। এই কারণে আমাদের সমাজে একটা ভ্রান্ত ধারণার প্রচলন আছে, সেটা হচ্ছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হিন্দুদের কবি আর কাজী নজরুল ইসলাম মুসলমানের কবি। আজ সময় এসেছে এসব ভ্রান্ত ধারণা দূর করে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে তাদের প্রাপ্য জায়গায় রাখা। যার সেখানে স্থান তাঁকে সেখানে স্থাপন করতে পারলেই সব বিভ্রান্তির অবসান ঘটবে।
প্রাচ্যসংঘ যশোরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নূর ইসলাম ও প্রাচ্য সাহিত্য সংঘের পরিচালক কবি সেলিম রেজা সেলিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভার ফাঁকে ফাঁকে প্রাচ্যসংঘের শিল্পীরা কবিগুরুর কবিতা আবৃত্তি ও গান পরিবেশন করেন।

 

 

আরও খবর

🔝