শিরোনাম |
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার চলমান সংঘাতকে কেন্দ্র করে সীমান্তবর্তী জেলা সাতক্ষীরার ২৭২ কিলোমিটার জল ও স্থল সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) টহল জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) সরেজমিনে বিজিবির টহল জোরদার ও গোয়েন্দা তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। সাতক্ষীরা জেলায় ৩৬ কিলোমিটার স্থল সীমান্তসহ ২৭২ কিলোমিটার সীমান্ত পথ রয়েছে। এই স্থল ও জল পথের সীমান্ত রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি), শ্যামনগরের নীলডুমুর ব্যাটালিয়ন (১৭ বিজিবি) এবং রিভারাইন বিজিবির একটি কোম্পানি। জেলার এ দুই ব্যাটালিয়ন ও কোম্পানির আওতাধীন সীমান্তে তীক্ষ্ম নজরদারির পাশাপাশি বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে। একইসঙ্গে সীমান্তে বসবাসকারী জনসাধারণকেও সজাগ থাকতে দেখা গেছে।
সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়নের (৩৩ বিজিবি) অধিনায়ক লে. ক্যাপ্টেন আশরাফুল হক জানান, ‘ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতের কারণে সীমান্তের সুরক্ষা জোরদার করা হয়েছে। সীমান্তের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় সর্বদা সজাগ ও সতর্ক থেকে সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচ্ছে। সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে হুঁশিয়ারি জারি করা হয়েছে। এছাড়া অধিকতর টহল তৎপরতার জন্য সীমান্তে জনবল বৃদ্ধির পাশাপাশি সীমান্ত পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য গোয়েন্দা তৎপরতাও বাড়ানো হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়ন বৈকারীর ইউপি চেয়ারম্যান আবু মোস্তফা কামাল জানান, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যে সংঘাতময় বিরোধ চলছে তা কারো কাম্য নয়। তবে সাতক্ষীরার সীমান্তে স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে। সীমান্তে যদি বিএসএফ কোনো রকম তৎপরতা দেখায়, তাহলে বিজিবিকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করতে এদেশের মানুষ প্রস্তুত আছে।
সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ জানান, সাতক্ষীরা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্ত জেলা। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে এই জেলার সীমান্তে যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর জোর দেয়া হয়েছে।