শিরোনাম |
ইউরোপের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ক্লাব ফুটবল প্রতিযোগিতার নাম উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ। শুধু খেলার মাঠেই নয়, অর্থের হিসাবেও হয়ে উঠেছে মহাযুদ্ধ। এবারের আসরে চ্যাম্পিয়ন দল পেতে যাচ্ছে রেকর্ড পরিমাণ অর্থ, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় এক হাজার ৬৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত ছুঁতে পারে। উয়েফা জানিয়েছে, চলতি মৌসুমের জন্য তারা প্রাইজমানি বাবদ মোট বরাদ্দ রেখেছে ২৪৩.৭ কোটি ইউরো। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকার বেশি। গত মৌসুমের তুলনায় এটি প্রায় ৪০ কোটি ইউরো বেশি।
এবারের আসরে চ্যাম্পিয়ন দল পাবে প্রায় দুই কোটি ৫০ লাখ ইউরো। বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩৪৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। রানার্স আপ দলের জন্য রয়েছে এক কোটি ৮৫ লাখ ইউরো। অর্থাৎ ২৫৫ কোটি টাকা। সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়া দু’টি দল বার্সেলোনা ও আর্সেনালও খালি হাতে ফিরছে না। তাদের দেওয়া হচ্ছে এক কোটি ৫০ লাখ ইউরো করে। যা প্রায় ২০৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।
চ্যাম্পিয়নস লিগে তিন ভাগে অর্থ বন্টন করা হয়। যথাক্রমে অংশগ্রহণ ফি, পারফরম্যান্স বোনাস এবং সম্প্রচার রেভিনিউ। প্রতিটি অংশগ্রহণকারী ক্লাব পাচ্ছে নির্ধারিত ১৮.৬২ মিলিয়ন ইউরো। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২৫৬ কোটি টাকা।
পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৯১.৪ কোটি ইউরো। যেখানে প্রতিটি জয় বা ড্রয়ের ভিত্তিতে বাড়তে থাকবে ক্লাবগুলোর আয়। ইউরোপিয়ান র্যাংঙ্কিংয়ের ওপর ভিত্তি করে যে ক্লাব সবচেয়ে উপরে থাকবে তারা পাবে সর্বোচ্চ ১৩৬ কোটি টাকার বেশি। আর সবচেয়ে নিচের দল পাবে প্রায় ৩৭ কোটি টাকা।
এছাড়া ‘ব্রডকাস্ট মার্কেট পুল’ নামক বিভাগের মাধ্যমে দলগুলো আরও অর্থ পাবে, যার নির্ধারিত বাজেট ৮৫.৩ কোটি ইউরো বা প্রায় ১১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। প্রতিটি ক্লাবের জনপ্রিয়তা, বাজারমূল্য ও সম্প্রচার চাহিদার ওপর নির্ভর করে এখানে ভাগ করা হবে অর্থ।