শিরোনাম |
সড়ক দুর্ঘটনা কোনোভাবেই কমানো যাচ্ছে না। গত এপ্রিল মাসে দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮৩ জন নিহত ও ১ হাজার ২০২ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। মঙ্গলবার যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত মাসে রেলপথে ৩৫টি দুর্ঘটনায় ৩৫ জন নিহত এবং নৌপথে ৮টি দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত হয়েছেন।
মোট দুর্ঘটনার ৩৭ দশমিক ৯১ শতাংশই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বলে জানায় যাত্রী কল্যাণ সমিতি, যা নিহতের ৩৯ দশমিক ২৭ শতাংশ। এপ্রিলে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রাম বিভাগে। সেখানে ১৩৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩৬ জন নিহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটেছে সিলেট বিভাগে, ২৮টি। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেল গণমাধ্যম পর্যবেক্ষণে এই তথ্য পেয়েছে বলে জানানো হয়েছে। সমিতি জানায়, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণ মতে এপ্রিল মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণের মধ্যে রয়েছে, দেশের সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত রিকশার অবাধ চলাচল, জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং ও সড়কবাতি না থাকা। জাতীয়, আঞ্চলিক ও ফিডার রোডে টার্নিং চিহ্ন না থাকা। মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা। উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন। অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, বেপরোয়া যানবাহন চালানো এবং একজন চালক অতিরিক্ত সময় ধরে যানবাহন চালানো।
এ পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করলে অবশ্যই সড়কে প্রাণহানীর সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব। সেই সাথে বলা জরুরি যে, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে হলে অভিভাবককে সচেতন হতে হবে। তারা অল্পবয়সী ছেলেদের হাতে যেমন মোটরসাইকেল তুলে দিচ্ছেন, তেমনি তাদের বেপরোয়া যানচলাচলে পরিবার থেকে কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করছেন না। ফলে অকালে দুর্ঘটনায় অনেক কিশোর-তরুণ প্রাণ হারাচ্ছে।