শিরোনাম |
আজ ২৫ বৈশাখ, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১শ’৬৪তম জন্মজয়ন্তি। ১৮৬১ সালের এই দিনে কোলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে জন্ম নিয়েছিলেন সাহিত্যে বিশ্ব জয় করা বিরল প্রতিভার অধিকারী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনা সম্ভার বিপুল ও বৈচিত্রময়। সাহিত্যের এমন কোনো শাখা নেই যেখানে তিনি বিচরণ করেননি। যে বিশেষণে তাকে বিশেষায়িত করা হোক না কেনো, যেন কম হয়ে যায়। রবীন্দ্রনাথ এমন একটি নাম ও প্রতিষ্ঠান যা বাঙালির মন-মানসিকতা গঠন, চেতনার উন্মেষের অন্যতম প্রধান অবলম্বন। শুধু সৃজনশীল সাহিত্য রচনা নয়, অর্থনীতি, সমাজ, রাষ্ট্র নিয়ে ভাবনাও তাকে অত্যন্ত উঁচু আসনে অধিষ্ঠিত করেছে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মায়ের নাম সারদাসুন্দরী দেবী এবং বাবা জমিদার দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাঁর ধর্মীয় ও দার্শনিক চেতনা ছিল শুধু নিজের শান্তি বা নিজের আত্মার মুক্তির জন্য ধর্ম নয়, মানুষের কল্যাণের জন্য যে সাধনা তাই ধর্ম। তাঁর দর্শন ছিল মানুষের মুক্তির দর্শন। তিনি বিশ্বাস করতেন বিশ্বমানবতাবাদে। জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তাঁর কবিতায়, গানে, গল্পে, বিভিন্ন কর্মকান্ডে সেই দর্শনের অন্বেষণ করেছেন তিনি। তাঁর কবিতা, গান, সাহিত্যের অন্যান্য শাখার লেখনি মানুষকে আজও সেই অন্বেষণের পথে, উপলব্ধির পথে আকর্ষণ করে। তার বাণীর ঐশ্বর্যে, ভাষার নৈপুণ্যে ও মানবিক মাঙ্গলিকতার বোধে এখনো মানুষকে ছুঁয়ে যান তিনি, মোহিত করেন, আনন্দিত করেন, উদ্বুদ্ধ করেন আর তা বজায় থাকবে শতাব্দির পর শতাব্দি।
এবার রবীন্দ্রনাথের জন্মবার্ষিকী উদযাপনে যশোরের সাংস্কৃতিক অঙ্গণে নানা আয়োজন রয়েছে। যশোর উদীচী, সুরবিতান, পুনশ্চ যশোর, বিবর্তনসহ বিভিন্ন সংগঠন নানা আয়োজনে বিশ্বকবিকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাবে।