যশোর নগর বিএনপি আয়োজিত বুধবার বৈশাখী ফুটবল উৎসবের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে জয় পেয়ে ফাইনালে উঠেছে ছয় নম্বর ওয়ার্ড। তারা ১-০ গোলে পরাজিত করেছে নয় নম্বর ওয়ার্ডকে। জয়ী এক নম্বর ওয়ার্ড আগামী শনিবার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে ছয় নম্বর ওয়ার্ডের। এ ম্যাচে রেফারি শফিকুল ইসলামের খেলা পরিচালনায় খুব বেশি সন্তুষ্টি হতে পারেনি আয়োজক থেকে শুরু করে দু’দলের খেলোয়াড় ও সমর্থকরা। এ ম্যাচে সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন এক নম্বর ওয়ার্ডের গোলরক্ষক মিতুল।
শামস্-উল হুদা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের প্রথমার্ধ ছিল গোল শূণ্য সমতায়। এ অর্ধে পুরোটা সময় ছিলো আক্রমন ও প্রতি আক্রমন। কিন্তু গোল মুখে যেয়ে আক্রমনগুলো সফলতার মুখ দেখেনি। রক্ষণভাগের পাশাপাশি গোলরক্ষকরা যথার্থ ভূমিকা পালন করেছেন।
বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচের ৪৬ মিনিটে মাঠের পশ্চিম প্রান্ত খেকে গড়ে ওঠা আক্রমন নয় নম্বর ওয়ার্ডের গোলরক্ষক গোলরক্ষক গোল পোস্ট ছেড়ে পশ্চিম দিকের বড় ডি বক্সের মধ্যে প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। তাতে আক্রমনভাগের খেলোয়াড়ের সাথে কিছুটা ধাক্কা লাগে। এই ধাক্কা লাগাটা রেফারি শফিকুল ইসলাম মিঠুর কাছে বিধি সম্মত মনে না হওয়ায় গোলরক্ষকে হলুদ কার্ড দেখান এবং পেনাল্টি ঘোষণা দেন। তার এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে অপরগতা প্রকাশ করে নয় নম্বর ওয়ার্ডের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা। এ নিয়ে প্রায় চার মিনিট খেলা বন্ধ ছিল। পরে নগর বিএনপির নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে পুনরায় খেলা মাঠে গড়ায়।
কার্যত গোলরক্ষকের সাথে আক্রমনভাগের খেলোয়াড়ের সংঘাতের সময় বলটি আক্রমনভাগের খেলোয়াড়ের দখলে ছিল না।
পেনাল্টি কিক থেকে গোল করেন এক নম্বর ওয়ার্ডের মেহেদী হাসান। এরপর ম্যাচের বাকি সময়ে দু’দলের আক্রমণভাগের খেলোয়াড়রা গোলের কয়েকটি সহজ সুযোগ তৈরি করেও তা কাজে লাগাতে পারেনি।
খেলা শেষে সেরা খেলোয়াড় মিতুলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন। জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ শহিদুল বারী রবু, নগর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুৃরী মুল্লুক চাঁদ, সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক সেতু। টুর্নামেন্ট কমিটির আহবায়ক সোহেল মাসুদ হাসান টিটো প্রমুখ।