gramerkagoj
শুক্রবার ● ২৩ মে ২০২৫ ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
gramerkagoj
‘জেলে থেকেও আমি হত্যা মামলার আসামি!’
প্রকাশ : বুধবার, ৭ মে , ২০২৫, ০৪:৩০:০০ পিএম
ঢাকা অফিস:
GK_2025-05-07_681b36500e81a.jpg

আওয়ামী লীগের কদমতলী উপজেলার সদস্য ও দৈনিক সরেজমিন বার্তার সাংবাদিক সিকদার লিটন আদালতকে জানিয়েছেন, আজকে যে মামলায় আমাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, ওই ঘটনায় সময় আমি কারাগারে ছিলাম। ঘটনার তিন মাস পর আমি কারামুক্ত হই। সেই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আমি কীভাবে আসামি হই।
বুধবার (৭ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি.এম. ফারহান ইশতিয়াকের আদালতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর ভাটারা এলাকায় মো. জাহাঙ্গীর নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা মামলার গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানিতে এসব কথা বলেন তিনি।
জানা যায়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক নাজমুল আলম তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আবেদন করেন। আদালত তার উপস্থিতিতে গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য করেন। শুনানি উপলক্ষ্যে তাকে এদিন আদালতে আনা হয়। এসময় তাকে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে তাকে এজলাসে তোলা হয়।
আদালতে নেওয়ার পথে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে সিকদার লিটন বলেন, আমি সাংবাদিক লিটন। জেলে থেকে বৈষম্যের মামলায় আসামি হয়ে গেছি। জেলে ছিলাম তারপরও আমি আসামি। আমি ন্যায়বিচার দাবি করছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। আমি জেলে ছিলাম সাইবার মামলাতে। তারপর আমাকে এ মামলায় আসামি করে দেওয়া হয়েছে।
এরপর গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানি হয়। আদালত তাকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এসময় আদালতের অনুমতি নিয়ে কথা বলতে চান সিকদার লিটন।
তখন আদালত বলেন, আপনার আইনজীবী নাই?
লিটন বলেন, আজ নেই।
পরে সিকদার লিটন বলেন, আমি একজন সাংবাদিক। ফরিদপুরে দুই হাজার কোটি টাকা পাচার নিয়ে ২০২০ সালে নিউজ করি। এজন্য ফরিদপুরের সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের মেয়ের জামাই আওয়ামী লীগ নেতা আরিফুর রহমান দোলন আমার নামে ২০২০ সালে ২৬টি মামলা দেয়। ওই বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত বছরের ২২ অক্টোবর আমি কারাগার থেকে মুক্তি পাই। আজকে যে অভিযোগে আমাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে সেই ঘটনার তিন মাস পর মুক্তি পাই। জেলে থেকে কীভাবে আমি এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত হই।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ভাটারা থানাধীন যমুনা ফিউচার পার্কের পাশে গত ২০ জুলাই আন্দোলনে অংশ নেন মো. জাহাঙ্গীর। এদিন দুপুর ১২টায় আসামিদের ছোড়া গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। পরে ২১ জুলাই মারা যান। এ ঘটনায় এ বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ভাটারা থানায় একটা হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

আরও খবর

🔝