শিরোনাম |
শেরেক নাম দিয়ে একশ’ বছরের বেশি এট্টা বটগাছ কাইটে ফেলা হইয়েচে। আলেম সুমাজের ব্যানারে গাছ কাটার ভিডিও সুমাজিক যোগাযোগ মাইদ্যমে ছড়ায় পইড়েচে। এই নিয়ে নানান মুকি কতা বাত্তার চাউর হইয়েচে। ঘটনাডা ঘইটেচে মাদারীপুর জিলার সদর উপজিলার শিরখাড়া ইউনিয়নের আলম মীরার কান্দি গিরামে।
এলেকাবাসীরা কইয়েচে, আলম মীরার কান্দি গিরামের কুমার নদের পাশে সাত্তার হাওলাদারের মালিকানায় এট্টা বাগানের মদ্দি শতবর্ষী এট্টা বটগাছ ছিল। ম্যালা বচর ধইরে গাছডা ঘিরে এলেকাবাসীরা নানান কর্মকা- করে আসছিলেন। মোসলমান ও হিন্দু ধম্মের কিচু মানুষ মনের বাসনা পূরণ, রোগ বালাইত্তে মুক্তি, সুন্তান কামনাসহ নানান বিষয় নিয়ে মানত কত্তেন এই গাছতলায়। গাছের গোড়ায় মোমবাতি, আগরবাতি জ্বালাতেন। পাশাপাশি নতুন গামছা, কাপড়, মিষ্টি, নাড়ু, হাড়িকুড়িসহ নানান জিনিসপত্তর রাইখে যাতেন। হালি কইরে এই বৈশেকে এই বটগাছ তলায় মেলা ও বাউল গানের আয়োজন করিল এলেকাবাসী। তবে আলেম সুমাজ বান্দাল দিয়ায় সিডাও হইলো না। হটাস সোমবার শিরক উসলোত দিয়ে গাছটা কাটা শুরু হয়। সারেদিন ধইরে গাছ কাইটে চুয়া কত্তি চালিও তা কত্তি পারিনি অনেক বড় গাছ বিলে। তেবে যে কাটা দেচে তাতে গাছটারে আর বাচানো যাবে না। আলেম সুমাজের পোতিনিধিগের কতা হচ্চে গাছতলায় শেরেকের আনজাম হয়। তাই এই গাছ বাচায় রাকা যাবে না।
আমি মুক্কু সুক্কু মানুস জ্ঞানের বহর খাটো তাই বুজদি পাচ্চিনে, শেরেক হলি তাতে গাছের দোষটা কনে! যারা এই সব কচ্চিলো তাইগের তো বারন দিয়া যাইতো। কিন্তুক গাছ কাইটে লাভডা কি। ময়মুরুব্বীগের মুকি শুনিচি গাছের পেত্তেকটা পাতা রাত্তিরি আল্লার জেকের করে। যে কারনে রাত্তিরি গাছের পাতা ছিড়তি মুরুব্বীরা বারন দেয়। গিরামের মসজিদির ইমাম শহিদুল ইসলাম চাচা কইয়েচেন, কোনোভাবেই শেরেক করা যাবে না, ইডা যিরাম ঠিক সিরাম শতবর্ষী বটগাছ কাটাও ঠিক হয়নি। যারা এসব কাজ কইত্তো তাগের বুজোনোর দরকার ছিল।
যারা এই খাইনডা বাদায়েচে কিডা জানে মাতা ব্যাতা চাগালি সেই উসলোতে আবার মাতায় কাইটে ফেলে কিনা! আলাম কনে, মলাম যে!
ইতি-
অভাগা আক্কেল চাচা