gramerkagoj
শুক্রবার ● ২৩ মে ২০২৫ ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
gramerkagoj
এ উত্তেজনাকর পরিস্থিতির অবসান জরুরি
প্রকাশ : বুধবার, ৭ মে , ২০২৫, ০৯:৩৮:০০ এএম
:
GK_2025-05-07_681ad5ac546f2.jpg

গত ৫ মে রাতে কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর আটটি সেক্টরে পাকিস্তানি বাহিনী বিনা উস্কানিতে গুলিবর্ষণ চালিয়েছে বলে অভিযোগ তুলে ভারতের সামরিক বিমাগুলো তাদের প্রস্তুতি বাড়িয়েছে। বিমান বাহিনী কমান্ডের সূত্রের বরাতে টাইমস অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, পাকিস্তান সীমান্তে ভারতীয় বিমান বাহিনীকে 'হাই অ্যালার্টে' বা 'উচ্চ সতর্কতা'য় রাখা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে, রাজস্থান এবং পাঞ্জাবের অগ্রবর্তী ঘাঁটিতে সম্পূর্ণ সশস্ত্র যুদ্ধবিমানের ক্রুরা তাৎক্ষণিক যুদ্ধ অভিযানের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এয়ার-টু-গ্রাউন্ড ক্রুজ মিসাইল দিয়ে সজ্জিত ফ্রান্স থেকে কেনা রাফাল মাল্টি-রোল জেটও প্রস্তুত রয়েছে। সংবাদপত্রটি জানিয়েছে, ৫ মে রাতে কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর আটটি সেক্টরে পাকিস্তানি বাহিনীর বিনা উস্কানিতে গুলিবর্ষণের পর ভারতের সামরিক বিমান ক্ষেত্রগুলো তাদের প্রস্তুতি বাড়িয়েছে।
২২ এপ্রিল, ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটন শহর পহেলগামে সশস্ত্র ব্যক্তিরা গুলি চালিয়ে ২৫ জন ভারতীয় এবং একজন নেপালি নাগরিককে হত্যা করে। এতে আরও অনেকে আহত হন। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো অভিযোগ করেছে, লস্কর-ই-তৈয়বা গোষ্ঠীর সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলায় পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) জড়িত ছিল। এরপর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। নয়াদিল্লি এবং ইসলামাবাদ কূটনৈতিক কর্মীদের ওপর পারস্পরিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, দ্বি-পাক্ষিক বিভিন্ন চুক্তি স্থগিত করেছে এবং একে অপরের বিমানগুলোর জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে। উভয় পক্ষই নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর গুলিবর্ষণ এবং প্রতিশোধ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এদিকে, এবার ফাত্তাহ সিরিজের সারফেস-টু-সারফেস ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালালো পাকিস্তান। ক্ষেপণাস্ত্রটি ১২০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। পাকিস্তানের মিডিয়া উইং সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে। খবর জিও নিউজের। কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটককে নিহতের ঘটনায় পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। টানা ১১ রাতের মতো দেশ দুইটির বাহিনীর মধ্যে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গুলি বিনিময় হয়েছে।
এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতির অবসান জরুরি। তারজন্য আনুষ্ঠানিক যুদ্ধ শুরুর আগেই শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্ব নেতৃত্বকে এগিয়ে আসা দরকার।

আরও খবর

🔝