শিরোনাম |
এক সুমায় বাড়ির উটোনোর কান্দায়ই কম বেশি শাক সবজি লাগানো হইতো। বিশেষ কইরে জাড় আসার আগ দিয়ে সিম,লাউ, কুমড়োর বান দেকা যাইতো বাড়ি বাড়ি। রান্দা ঘরের চালে বাইয়ে উটতো পুইশাক কিম্বা চাল কুমড়োর ডুগা। আর ঘরের আশপাশে তলাশ কইরে জাইত বাগুন বা টক বাগুনির গাছ পাওয়া যাবেনা ইরাম কোন বাড়িই ছিলো না। একনকের হয়ত অনেকের ঠাহর কত্তিই কষ্ট হবে কুনডা জাইত বাগুন আর কুনডা টক বাগুন। অবিশ্যি টক বাগুনরে অনেকই বিলেতি বাগুন কইয়েও ডাইকতো। জাইত বাগুন হচ্চে যিডারে তরকারি হিসেব আমরা বাগুন বিলে খাই। আর টক বাগুন বা বিলেতি বাগুন হচ্চে টেমাটুম। পতুগীজরা যকন ভারত বষষে জাহাজ চালায় আইলো তকন তারা টেমাটুমির চারা নিয়ে আইলো। ১৮শ’ সালে যকন ইংরেজ সাহেবরা ভারত বষষো কব্জা কইরে নিলো তকনতে ইংরেজ সাহেবগের জন্যি টেমাটুমির চাষ শুরু হয়। যে জন্যি সেই সুমাত্তেই এরে ডাকা হয় বিলেতি বাগুন কইয়ে। টেমাটুম ইরাম এট্টা জিনুস যা নিয়ে অনেকেই ধন্দে পড়েন ইডা ফল না সবজি। কারন ব্যবহারের দিক দিয়ে দুডোর চল আছে। কুটি কালে আমরা তয়কার হিসেবে যতডা খাইছি তার চাইতে বেশী খাইছি কাচা পাকা ফল হিসেবে। সে কি চুকো হইতো রে বাবা। হাতের তলায় নুন রাইকে যিরাম মাইয়েরা কুল বরই খায় সিরাম আমরা টক বাগুন খাতাম। এক সুমায় যা জাড়ের সুমায় পাওয়া যাইতো,সব কিচুর মতো গেচে তা উল্টোয়। একন জাড়ের চাইতে গরমের সুমায় বেশী পাওয়া যায়। শুনিচি আমাগের জিলার বাঘারপাড়ায় পেত্তম গরমে টকবাগুন চাষ শুরু হইলো। আর একন হ্যানো কোন জাগা নেই য্যানে টেমাটুমির চাষ হচ্চে না। তেবে এট্টা জিনুস না কইয়ে পাত্তিচি নে, টেমাটুমির জাত নিয়ে গবেষুনা কত্তি কত্তি একন বেজাত হইয়ে হইয়ে গেচে। একনকের টেমাটুমির সেই কুটিকালের মতো না পায় স্বাদ না পায় গন্দ। তেবে চামড়া পুরোট টেমাটুম য্যানো আমাগের চোকি আঙ্গুল দিয়ে দেকায় দেচ্চে অকালে টিকতি হলি গার চামড়া পুরোটই কত্তি হবে। তা না হলি কোনটোয় টিকার কায়দা নেই। কি সব্বেরাশে কতা কওদিনি বাপু। আলাম কনে, মলাম যে !
ইতি
অভাগা আক্কেল চাচা