সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ২৫ বছরে গড়ে উঠেনি টেস্ট সংস্কৃতি, সেটাই নতুন করে শুরুর ঘোষণা দিয়েছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। আত্মবিশ্বাসী ক্রিকেট খেলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে বা দক্ষিণ আফ্রিকা হোক, এক দাঁড়িপাল্লায় মেপে প্রতিটি বল বুক চিতিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। রোববার সিলেটে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনেই ২২ গজে দেখা মিললো গা ছাড়া ভাব। তাতেই নড়বড়ে বাংলাদেশ।
টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে মাত্র ১৯১ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে জিম্বাবুয়ে কোনো উইকেট না হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৬৭ রান তুলেছে। ১০ উইকেট হাতে রেখে দিন শেষ করার স্বস্তিতে সফরকারীরা।
জিম্বাবুয়ের বোলাররা আহামরি বোলিং করেননি যাতে বাংলাদেশ ৬১ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ফেলবে। অতীত রেকর্ডও ভালো নয় লাল সবুজের বাংলাদেশের। এই টেস্টের আগে অলআউট হওয়া দশ ইনিংসের মধ্েয ছয়টিতেই দুইশ ছুঁতে পারেনি।
যার শুরুটা ওপেনিং জুটি থেকেই। সবশেষ ৩১ ইনিংসে উদ্বোধনী জুটিতে কোনো সেঞ্চুরি আসেনি। এবার ৩১ রানেই উদ্বোধনী জুটিতে ফাটল। সাদমান স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরার এক রান পরই মাহমুদুল হাসান জয় উইকেটের পেছনে তালুবন্দি হন। প্রথম সেশনে আর কোনো বিপদে পড়েনি। কিন্তু দ্বিতীয় সেশনেই সব ওলট পালট। উইকেট আহামরি কঠিন ছিল না। ব্যাটিংয়ের জন্য সহজ ছিলো। জিম্বাবুয়ের বোলাররাও আহামরি বোলিং করেননি যে ব্যাটিংয়ে ধস নামবে।
আত্মঘাতি শটে উইকেট উপহার দিয়ে না আসলে ব্যাটসম্যানদের আউট করা কঠিন ছিল। অতিথিদের জন্য কাজটা সহজ করে দেন অধিনায়ক শান্ত ৪০, মুশফিকুর ৪, মুমিনুল ৫৬ ও মিরাজ ১ রান করে। তাদের পথ অনুসরণ করেন তাইজুল। করেন মাত্র ৩ রান। ৪৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে বাংলাদেশ।
সেখান থেকে দাঁড়ানোর শক্তি বাকি ব্যাটাররা দেখাতে পারেনি। জাকের আলীর ২৮, হাসান মাহমুদের ১৯ রান স্কোরবোর্ড কিছুটা সমৃদ্ধ করেছে। শুরুর দুই ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফেরার পর তৃতীয় উইকেটে মুমিনুল ও শান্ত ১২৮ বলের জুটি গড়েছিলেন। ৬৬ রান আসে তাদের জুটিতে। যা দলের পক্ষে ছিলো সর্বোচ্চ।
একই উইকেটে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা ১৪.১ ওভার খেলার সুযোগ পেয়েছিল। ব্রেইন বেনেটের ৩৭ বলে ৬ চারে সাজানো ৪০ ও বেন কারানের ৪৯ বলে ১৭ রানের জমাট ৬৭ রানের জুটি অবাক করেছে সবাইকেই। শেষ বিকেলে চার বোলার ব্যবহার করেও কোনো সাফল্য মেলেনি। তাতে দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একচ্ছত্র আধিপত্য ধরে দিনটা নিজেদের করে নিয়েছে অতিথিরা।