শিরোনাম |
বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ বিপদ অপেক্ষা করছে! ভাতেও শনাক্ত হয়েছে বিপজ্জনক আর্সেনিক। বাংলাদেশসহ বিশ্বের কৃষিপ্রধান দেশগুলোর ধানে আর্সেনিকের উপস্থিতির আশঙ্কা বেড়ে গেছে। এটি পরবর্তীকালে চালের মাধ্যমে মানুষের শরীরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। সম্প্রতি দ্য ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেলথ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রভাবশালী সাময়িকী ‘দ্য ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেলথ’ এর প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর থেকে উদ্বেগ বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির পরিবেশবিজ্ঞানী লুইস জিসকা ও তার সহকর্মীরা এই গবেষণা করেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৪ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে গবেষণা চালিয়ে অন্তত ২৮ ধরনের চাল পরীক্ষা করে আর্সেনিকের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন নিউ ইয়র্কের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। তারা সতর্ক করে বলেছেন, এশিয়ার দেশগুলোই রয়েছে বিপদে। কারণ বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, তাইল্যান্ড, ভিয়েতনামের মতো দেশে চালের মধ্যে পাওয়া গেছে আর্সেনিক।
কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির পরিবেশবিজ্ঞানী লুইস জিসকা জানিয়েছেন, ভারত, বাংলাদেশসহ এশিয়ার আরও নানা দেশের ধান চাষের জমিগুলোর নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে অন্তত ২৮ রকমের চাল পরীক্ষা করে আর্সেনিক শনাক্ত হয়েছে।
গবেষণা বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাতাসে কার্বন-ডাই অক্সাইডের মাত্রা বাড়ছে, যা মাটি ও পানিকে দূষিত করছে। এছাড়া কীটনাশক ব্যাপক মাত্রায় ব্যবহার হচ্ছে চাষের জমিতে, যা বিপদের কারণ হয়ে উঠছে। পরে ধান ও চালের মধ্যেও ঢুকে যাচ্ছে আর্সেনিক। তবে এই বিষটির উপস্থিতি সেদ্ধ চালেই বেশি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের শরীরের প্রতি কেজি ওজনে দুই মাইক্রোগ্রাম আর্সেনিক থাকাটা স্বাভাবিক। কিন্তু যদি এই মাত্রা ছাপিয়ে যায়, তখন হার্ট, কিডনি, ফুসফুসের রোগ তো হবেই, পাশাপাশি ক্যানসারের ঝুঁকিও বহু গুণে বেড়ে যাবে। সেইসঙ্গে দেখা দেবে স্নায়ুতান্ত্রিক জটিল রোগ।