gramerkagoj
শনিবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ১৩ বৈশাখ ১৪৩২
gramerkagoj

❒ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার

কোনো হাওরে ইজারা থাকা উচিত না
প্রকাশ : শনিবার, ১৯ এপ্রিল , ২০২৫, ০৫:৩৮:০০ পিএম
ঢাকা অফিস:
GK_2025-04-19_68038b1e4b325.jpg

হাওর রক্ষা করাটাই আমাদের কাজ উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, কোনো হাওরে ইজারা থাকা উচিত না। হাওরে ইজারা বন্ধ করতে হবে। এর ফলে কী হবে না হবে, তা ভাবা যাবে না। হাওর সেখানকার মানুষের অধিকারের জায়গা, আর তা রক্ষা করাই আমাদের কাজ।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) কর্তৃক আয়োজিত 'সরকারি জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতি ২০০৯ : হাওর অঞ্চলে বৈষম্য ও অব্যবস্থাপনা' শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের পর ভেবেছিলাম মাছ নিয়ে কাজ করতে হবে। এখন মাছ তো নানা জায়গা থেকে আসে, নদী থেকে আসে, সমুদ্র থেকে আসে। কিন্তু হাওরের বিষয়টা যে এতো গভীর, তা বুঝতে পারিনি। সরাসরি হাওরে গিয়ে দেখে বুঝতে পারলাম যে, হাওর বাংলাদেশের একটা সম্পদ। হাওরে শুধু মাছ আছে তাই নয়, প্রাণিসম্পদও অনেক।
তিনি বলেন, হাওরকে ঘিরে একটা বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখা হয়েছে। তাই বলা হয় যে, সেখানকার ২৯ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। হাওরের মালিক মূলত কে? আসলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে হাওরগুলো রয়েছে। যদিও অধিকাংশ হাওর এলাকা ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে দিয়ে দেওয়া হয়েছে, যারা শুধু ইজারা দিয়ে এখান থেকে রাজস্ব আহরণ করে।
উপদেষ্টা আরো বলেন, কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে যে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে, তাকে বলা হচ্ছে অল ওয়েদার সড়ক। কারণটা কী? পরে জানতে পারলাম যে, সব ঋতুতেই এই সড়ক সহনশীল। অথচ এই রাস্তা তৈরির মাধ্যমে এরইধ্যে সেই এলাকার নিদারুণ ক্ষতি হয়ে গেছে। অনেক টাকা খরচ করে এই রাস্তাটা তৈরি করা অন্যায় হয়েছে। আমি মনে করি এই রাস্তা নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিচার হওয়া দরকার।
প্রধান অতিথি বলেন, মাছ ধরার জন্য এরইমধ্যে আমরা কারেন্ট জাল বন্ধ করেছি। কিন্তু বর্তমানে চায়নাদুয়ারী নামক জালে মাছ ধরা হচ্ছে। এগুলো অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। জাল হবে মৎস্যজীবীদের একটা উপকরণ, অথচ এই জালটা হয়ে গেছে এক অবৈধ জাল। সুতরাং আমার মতে প্রকৃত জেলেরা এসব অবৈধ জাল ব্যবহার করে না। কিছু মৌসুমী মৎস্যজীবীরা এসব জাল ব্যবহার করা থাকে।

 

আরও খবর

🔝