gramerkagoj
বুধবার ● ৯ জুলাই ২০২৫ ২৫ আষাঢ় ১৪৩২
gramerkagoj
শিরোনাম
শিরোনাম দুর্ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীদের জন্য এককালীন অনুদানের জন্য আবেদন আহবান অব্যাহত বৃষ্টিতে ব্যস্ততা বেড়েছে ছাতা কারিগরদের দলমত নয়, দায়বোধের জয়: জামায়াতপন্থী নেতাদের হাত ধরে শৈলকুপার ধরমপাড়া রাস্তায় ফিরল স্বস্তি আরও কয়েক দিন চলবে বৃষ্টি, জানাল আবহাওয়া অফিস মোরেলগঞ্জে ফের পানগুছি নদীর ভাঙ্গনের মুখে শত শত পরিবার জুলাই আন্দোলনে গুলি চালনার নির্দেশ শেখ হাসিনার মণিরামপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত পানি আর কষ্টে ডুবেছে পাইকগাছা, ক্ষতির মুখে কৃষকরা ২ ঘন্টার মধ্যে ঝড়ের আভাস ৭ জেলায় ঝড়ের শঙ্কা, ১ নম্বর সতর্কসংকেত নারীসহ ওসির পাউবোর রেস্টহাউজ কান্ড ভাংচুর ঘটনা চাপাতে চান নির্বাহী প্রকৌশলী
অভিনয় ও রাজনীতিকে বিদায় জানালেন সোহেল রানা
প্রকাশ : শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল , ২০২৫, ১১:২৯:০০ এএম
বিনোদন ডেস্ক:
GK_2025-04-18_6801e32b878dd.jpg

 

‘‘স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’ প্রযোজনা করে ১৯৭২ সালে শোবিজে পা রাখেন মাসুদ পারভেজ ওরফে সোহেল রানা। ১৯৭৪ সালে ‘মাসুদ রানা’ সিনেমার মাধ্যমে অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি।
'মাসুদ রানা' নামের সিনেমাটা পরিচালনাও করেছিলেন তিনি। এরপর হয়ে ওঠেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক। অভিনয় করেছেন তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে চলচ্চিত্রের পাশাপাশি রাজনীতির মাঠেও পাওয়া গেছে তাকে। অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিনয়কে বিদায় বলে দিলেন সোহেল রানা। জানালেন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেও আর দেখা যাবে না তাকে।’’


ঢাকাই চলচ্চিত্রের বর্ষীয়ান অভিনেতা সোহেল রানা অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিনয়কে বিদায় জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেও তাকে আর দেখা যাবে না। সম্প্রতি দেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
সোহেল রানা বলেন, ‘অভিনেতা হিসেবে ১৯৭৩ সালে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলাম। সেই হিসেবে প্রায় ৫২ বছর হয়েছে। চলতে চলতে তো এক পর্যায়ে শেষ হতেই হয়। অভিনয়কে বুকের মধ্যে আমি লালন করলেও আমাকে আর প্রফেশনাল অভিনয়ে দেখা যাবে না। আমি সক্রিয় রাজনীতি ও প্রফেশনাল অভিনয় থেকে অবসরের জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’ প্রযোজনা করে ১৯৭২ সালে শোবিজে পা রাখেন মাসুদ পারভেজ ওরফে সোহেল রানা। ১৯৭৪ সালে ‘মাসুদ রানা’ সিনেমার মাধ্যমে অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি।
'মাসুদ রানা' নামের সিনেমাটা পরিচালনাও করেছিলেন তিনি। এরপর হয়ে ওঠেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক। অভিনয় করেছেন তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে চলচ্চিত্রের পাশাপাশি রাজনীতির মাঠেও পাওয়া গেছে তাকে। অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিনয়কে বিদায় বলে দিলেন সোহেল রানা। জানালেন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেও আর দেখা যাবে না তাকে।
এ প্রসঙ্গে সোহেল রানা বলেন, ‘১৯৭৩ সালে অভিনেতা হিসেবে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলাম। সেই হিসাবে প্রায় ৫২ বছর হয়ে গেছে। চলতে চলতে তো একসময় শেষ হতেই হয়। অভিনয়টা এখনো বুকের মধ্যে লালন করলেও প্রফেশনাল অভিনয়ে আর দেখা যাবে না আমাকে। অ্যাকটিভ রাজনীতি ও প্রফেশনাল অভিনয় থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নতুন করে আর পর্দায় দেখা যাবে না। শরীরটাও আর সাপোর্ট করছে না।
তবে এখনো একটা সিনেমা পরিচালনা করার ইচ্ছে আছে তার। মূলত বয়সের কারণেই অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সোহেল রানা। অভিনয় থেকে অবসরের সবচেয়ে বড় কারণ বয়স। এখন তার বয়স ৭৯ বছর।
অভিনয় ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানানোর সময় দেশের চলচ্চিত্রজগৎ নিয়ে নিজের আক্ষেপের কথা জানিয়ে সোহেল রানা বলেন, 'চলচ্চিত্রজগৎ তো এখন শেষ। এখন দু-চারজন যারা করছে, তাদের সঙ্গে আমাদের প্রজন্মের মিলছে না। যেভাবে আমাদের ব্যবহার করার কথা, তেমন উপযুক্ততা তাদের নেই। বিদেশি সিনেমায় দেখি, আমাদের বয়সের শিল্পীরা দিব্যি কাজ করছেন। তাদের জন্য আলাদাভাবে চরিত্র ও গল্প লেখা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশে সে রকম কিছু হচ্ছে না। আমাদের এখানে শিল্পীদের বয়স হয়ে গেলে শুধু বাবা-মা, চাচাদের ক্যারেক্টার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। পারফর্ম করার সুযোগ থাকলে এ ধরনের চরিত্রে অভিনয় করা কোনো সমস্যা নয়। কিন্তু তা না হলে তো অভিনয়ের কোনো মানে হয় না। আমি সেই জায়গায় থেকেই চলে যেতে চাই। মানুষ আমাকে ভালোবাসে, সম্মান করে। মানুষের এই ভালোবাসা নিয়ে আমি সরে যেতে চাচ্ছি।'
সোহেল রানাকে সর্বশেষ দেখা গেছে তানভীর হোসেনের 'মধ্যবিত্ত' সিনেমায়। যদিও এক দশক ধরে সিনেমায় অনেকটা অনিয়মিত তিনি।

আরও খবর

🔝