gramerkagoj
শুক্রবার ● ২১ মার্চ ২০২৫ ৭ চৈত্র ১৪৩১
gramerkagoj
মাগুরায় আসলো সেই শিশুর মরদেহ,হলো জানাজা
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ , ২০২৫, ০৭:৪৭:০০ পিএম , আপডেট : শুক্রবার, ২১ মার্চ , ২০২৫, ০৩:৫৮:৪০ পিএম
লিটন ঘোষ:
GK_2025-03-13_67d2e235acbc8.jpg

আজ সন্ধ্যা ৭টায় মাগুরার নোমানী ময়দানে শিশু আছিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ইফতারের আগে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে আছিয়ার মরদেহ পৌছেঁ মাগুরায় ।
জানাজার পর আছিয়ার লাশের খাটিয়া ঘাড়ে করে নিয়ে যান জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ ও মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হকও শিশুটির জানাজায় অংশ নিতে মাগুরায় পৌঁছেন। এর আগে দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে শিশুটি।
এদিকে শিশু আছিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি অপূর্ব জাহাঙ্গীর জানান, প্রধান উপদেষ্টা নির্যাতনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামিদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ০৬ মার্চ বোনের শ্বশুরবাড়ি মাগুরা শহরের নান্দুয়ালী এলাকায় বেড়াতে গিয়ে বোনের শ্বশুর হিটু শেখ (৫০)-এর লালসার শিকার হয় শিশুটি। ওইদিন বেলা ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা আড়াইশ বেড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে শিশুটির মা হাসপাতালে যান। ওই দিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ০৭ মার্চ রাতে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। তারপর তাকে নেওয়া হয় সিএমএইচে।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার শিশুটির দুলাভাই ও দুলাভাইয়ের বাবাসহ চারজনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। ৯ মার্চ রাত ১২টার দিকে মাগুরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল মতিনের আদালতে শুনানি শুরু হয়। পুলিশ আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত এক নম্বর আসামি হিটু শেখকে ৭ দিন এবং সজীব হোসেন, রাতুল শেখ ও জাবেদা বেগমের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে শিশুটিকে ধর্ষণের মামলার তিন আসামি শিশুটির বোনের শ্বশুর হিটু শেখ, বোনের স্বামী সজিব শেখ ও ভাশুর রাতুল শেখের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মাগুরা কারাগার থেকে তিনজনকে ঢাকার মালিবাগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ডিএনএ ম্যাচিংয়ের জন্য ফরেনসিক বিভাগ নমুনা সংগ্রহ করে।
অপরদিকে ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে ফাঁসির দাবিতে মাগুরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপি দিয়েছে ছাত্র-জনতা।

 

 

আরও খবর

🔝