gramerkagoj
সোমবার ● ১৭ মার্চ ২০২৫ ২ চৈত্র ১৪৩১
gramerkagoj
মাগুরার সেই শিশুটিকে বাঁচানো গেলো না
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ , ২০২৫, ০২:০৯:০০ পিএম
কাগজ ডেস্ক:
GK_2025-03-13_67d292aee244b.jpg

মাগুরার সেই শিশুটিকে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে।
বহুলালোচিত মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই আট বছরের শিশুটিকে বাঁচানো গেল না। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বেলা ১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) পেডিয়াট্রিক নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক কর্নেল নাজমুল হামিদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনিবলেন, সকালবেলা দু’দফায় শিশুটির কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। সিপিআর দেওয়ার পর তার হৃৎস্পন্দন ফিরে আসে। কিন্তু বেলা ১২টায় তার আবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। এই দফায় সিপিআর দেওয়ার পরও তার হৃৎস্পন্দন আর ফিরে আসেনি। বেলা ১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
এর আগে শিশুটির মা জানিয়েছেন, ‘তার মেয়ে এখনও নড়াচড়া করছে না। অবস্থা সংকটাপন্ন। তাকে আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছি। সবার কাছে দোয়া চাই।'
উল্লেখ্য, গত (০৬ মার্চ) বোনের শ্বশুরবাড়ি মাগুরা শহরের নান্দুয়ালী এলাকায় বেড়াতে গিয়ে বোনের শ্বশুর হিটু শেখ (৫০)-এর লালসার শিকার হয় শিশুটি। ওইদিন বেলা ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা আড়াইশ বেড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে শিশুটির মা হাসপাতালে যান। ওই দিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ০৭ মার্চ রাতে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। তারপর তাকে নেওয়া হয় সিএমএইচে।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার শিশুটির দুলাভাই ও দুলাভাইয়ের বাবাসহ চারজনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। ৯ মার্চ রাত ১২টার দিকে মাগুরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল মতিনের আদালতে শুনানি শুরু হয়। পুলিশ আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত এক নম্বর আসামি হিটু শেখকে ৭ দিন এবং সজীব হোসেন, রাতুল শেখ ও জাবেদা বেগমের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে শিশুটিকে ধর্ষণের মামলার তিন আসামি শিশুটির বোনের শ্বশুর হিটু শেখ, বোনের স্বামী সজিব শেখ ও ভাশুর রাতুল শেখের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মাগুরা কারাগার থেকে তিনজনকে ঢাকার মালিবাগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ডিএনএ ম্যাচিংয়ের জন্য ফরেনসিক বিভাগ নমুনা সংগ্রহ করে।
অপরদিকে ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে ফাঁসির দাবিতে মাগুরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপি দিয়েছে ছাত্র-জনতা।

আরও খবর

🔝