শিরোনাম |
চট্টগ্রামের চন্দনাইশে পূরবী পরিবহন নামে একটি বাসের চাপায় ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক ও দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও এক শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের দোহাজারী সদরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো, ওয়াকার উদ্দীন আদিল (১২), রিজভী আকতার (১৬) এবং রুহুল আমিন (৪৫)। এর মধ্যে আদিল ও রিজভী আপন ভাই-বোন। আদিল পাঠশালা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের ৭ম শ্রেণির ছাত্র এবং রিজভী ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী। তারা জামিরজুরি চেয়ারম্যান বাড়ির জসীমউদ্দীনের সন্তান। আর রহুল আমিন দুর্ঘটনাকবলিত ওই ব্যাটারিরিকশার চালক ছিলেন। তিনি একই এলাকার চান গাজীর বাড়ির মৃত আমানত উল্লাহ’র ছেলে।
এদিকে, আহত আরেকজন হলেন মোছা. তুসিন আক্তার (১৬)। সে চান গাজীর বাড়ির আব্দুল্লাহ’র মেয়ে।
জানা গেছে, সকালে ব্যাটারিরিকশায় চড়ে কোচিংয়ে যাচ্ছিল তারা তিনজন। যাওয়ার পথে অটোরিকশাকে পিছন থেকে চাপা দেয় পূরবী পরিবহন নামে বাসটি। এতে ঘটনাস্থলে এক স্কুল শিক্ষার্থী ও রিকশাচালক নিহত হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরেক স্কুল শিক্ষার্থী মারা যায়। এছাড়া, তুসিন নামে আরো একজন আহত হয়েছে। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
দোহাজারী হাইওয়ে থানার ওসি সুবরঞ্জন চাকমা বলেন, 'পূরবী বাসের চাপায় অটোরিকশাচালক ও দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। এ ঘটনায় আরো এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তাকে প্রথমে দোহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।'
তিনি জানান, এ ঘটনায় ঘাতক বাসটি জব্দ করা হয়েছে। চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছে।
এদিকে, এ ঘটনার জের ধরে বিক্ষুব্ধ জনতা মহাসড়ক অবরোধ করে। এতে দুপাশের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, থানা ও হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।