gramerkagoj
সোমবার ● ১৭ মার্চ ২০২৫ ২ চৈত্র ১৪৩১
gramerkagoj
রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ফিরে যাচ্ছেন রোগীরা
প্রকাশ : বুধবার, ১২ মার্চ , ২০২৫, ০৪:১৭:০০ পিএম
হাফিজুর রহমান পান্না, রাজশাহী ব্যুরো:
GK_2025-03-12_67d15f30ec976.jpg

হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ ও ইন্টার্ণ চিকিৎসকদের পাঁচদফা দাবিতে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির পাশাপাশি দ্বিতীয় দিনের মত বহির্বিভাগের জরুরি চিকিৎসা সেবা বন্ধ রয়েছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। শুধু মাত্র জরুরি সেবা চালু রাখা হয়েছে বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এতে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীরা।
রাজশাহী ও আশেপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা শত শত মানুষ বহিঃ বিভাগে ভিড় করেন। চিকিৎসা না পেয়ে অনেকেই ফিরে যাচ্ছেন। দূর দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা পড়েছেন বিপাকে। অনেকেই জানেন না চিকিৎসকদের এই ধর্মঘটের কথা।
ইন্টার্ন ডক্টরস ফোরামের সভাপতি ডা. আব্দুল্লাহ জানান, আজকে হাইকোর্টে ৯২তম রিট শুনানি হবে। মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) চিকিৎসকদের 'ডাক্তার' পদবি ব্যবহার সংক্রান্ত রিট প্রত্যাহার করে হাইকোর্ট আজকে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ না করলে হাসপাতালের জরুরি সেবাও বন্ধ করে দেওয়া হবে। এদিকে গতকাল থেকে একই দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ করে দিয়েছেন রাজশাহীর সব চিকিৎসকরা।
আউটডোর সেবা বন্ধ থাকায় ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীরা। তারা সেবা না পাওয়ায় ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
চুয়াডাঙ্গা থেকে আলিয়া নামের এক রোগী জানান, তিনি গতকাল রাতে চুয়াডাঙ্গা থেকে ট্রেনে এসে স্টেশনে ছিলেন। এখন বহির্বিভাগে এসে দেখছি ডাক্তাররা কোনো রোগী দেখছেন না। রফিকুল ইসলাম নামের আরেক রোগী বলছেন, গতকাল কোনো ক্লিনিকে গিয়ে চিকিৎসা পাইনি। আজকেও আউটডোর সেবাও বন্ধ।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. শঙ্কর কে বিশ্বাস জানান, হাসপাতালের আউটডোরে প্রতিদিন গড়ে ৮ থেকে ১২ হাজার রোগী সেবা পায়। চিকিৎসকদের আন্দোলনের কারণে আউটডোর সেবা বন্ধ রয়েছে।
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দাবি সমূহ হচ্ছে এমবিবিএস কিংবা বিডিএস ডিগ্রি ব্যতীত কেউ নামের আগে ডাক্তার শব্দ ব্যবহার না করা, বিএমডিসির বিরুদ্ধে করা রিট প্রত্যাহার, আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ওটিসি ড্রাগ লিস্ট আপডেট করা, স্বাস্থ্য খাতে চিকিৎসকের সংকট নিরসন করা, এমটিএস ও নিম্নমানের মেডিকেল কলেজ বন্ধ করা ও চিকিৎসক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন, দ্রুত ১০ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দিয়ে শূন্যপদ পূরণ করতে হবে, ডাক্তারদের বিসিএসের বয়স সীমা ৩৪ বছর পর্যন্ত করার দাবিতে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের এই কর্মসূচি। আগামীকাল রায় নিয়ে কোনো তালবাহানা করলে আরো কঠোর কর্মসূচি দেওযা হবে বলে ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

আরও খবর

🔝