gramerkagoj
বুধবার ● ৯ জুলাই ২০২৫ ২৫ আষাঢ় ১৪৩২
gramerkagoj
শিরোনাম
শিরোনাম আফগান নারীদের নিপীড়নে তালেবান নেতৃত্ব অভিযুক্ত, আইসিসির গ্রেপ্তারি আদেশ শেখ হাসিনার সঙ্গে আওয়ামী লীগেরও বিচার দরকার: ফখরুল দুর্ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীদের জন্য এককালীন অনুদানের জন্য আবেদন আহবান অব্যাহত বৃষ্টিতে ব্যস্ততা বেড়েছে ছাতা কারিগরদের দলমত নয়, দায়বোধের জয়: জামায়াতপন্থী নেতাদের হাত ধরে শৈলকুপার ধরমপাড়া রাস্তায় ফিরল স্বস্তি আরও কয়েক দিন চলবে বৃষ্টি, জানাল আবহাওয়া অফিস মোরেলগঞ্জে ফের পানগুছি নদীর ভাঙ্গনের মুখে শত শত পরিবার জুলাই আন্দোলনে গুলি চালনার নির্দেশ শেখ হাসিনার মণিরামপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত পানি আর কষ্টে ডুবেছে পাইকগাছা, ক্ষতির মুখে কৃষকরা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষকের প্রতিকি ফাঁসি ও দ্রোহের কবিতা পাঠ
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ১১ মার্চ , ২০২৫, ০৩:৫৬:০০ পিএম
হাফিজুর রহমান পান্না, রাজশাহী ব্যুরো:
GK_2025-03-11_67d00776b79d6.jpg

দ্রুততম সময়ে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে প্রতীকী ফাঁসি ও দ্রোহের কবিতা পাঠ করে আন্দোলন করছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডের পাশে ফাঁসির মঞ্চ তৈরী করে সেখানে প্রতীকী ফাঁসি দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মারকে। দেশজুড়ে নারীর প্রতি সহিংসতা ও ধর্ষণের বিচারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচি পালন করে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বেলা ১২টা হতে এই আন্দোলন শুরু হয়ে চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত। ফাঁসির মঞ্চ ঘিরে শিক্ষার্থীরা সমবেত হন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, শুধু আছিয়া নয় বর্তমানে দেশে বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষণসহ নানা অপরাধে দেশে অস্তিতিশীল হয়েছে। আমরা চাই ধর্ষকের আসামীর ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত এবং ৩০ দিনের মধ্যে বিচারকার্য শেষ করা। রাষ্ট্র যে ১৮০ দিনের বিধান রেখেছে তা প্রত্যাখান করছি কেননা এই সময়ে অন্যকিছু ইস্যু চলে আসবে এবং এটা ধামাচাপা পড়ে যাবে তাই দ্রুততম সময়ে ধর্ষকের ফাঁসির রায় দ্রুত সময়ে করার দাবি জানাচ্ছি।
কর্মসূচিতে নাজিফা আনজুম মিম নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ধর্ষকের কঠিন বিচার, অর্থাৎ মৃত্যুদÐ কার্যকর করতে হবে। আমাদের ইন্টেরিম সরকার ধর্ষকের বিচারে ১৮০ দিনের টালবাহানা করছে, ততদিনে বাংলাদেশে আরও হাজার হাজার ইস্যু চলে আসবে এবং এটি ধামাচাপা পরে যাবে। যেমন আমরা তনুকে ভুলে গেছি, তেমনি এই ১৮০ দিনে আমরা আছিয়াকেও ভুলে যাব। তাই যত দ্রæত সম্ভব ধর্ষকদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক কামরুল ইসলাম সজিব বলেন, ধর্ষকের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আজকের এই প্রতীকী ফাঁসি ও দ্রোহের কবিতা পাঠ আয়োজন। আমরা এই ফাঁসির মঞ্চ থেকে ইন্টেরিম সরকারকে একটা মেসেজ দিতে চাই যে, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী ধর্ষকের যে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদÐ, তারা যেন দ্রত বাস্তবায়ন করে একটা নজির সৃষ্টি করে। বর্তমান সরকার কে অনুরোধ করব, ধর্ষণের তদন্তের জন্য যে ডিএনএ স্যাম্পলিং মেশিন দরকার যেটা শুধু ঢাকায় আছে, সেটা যেন প্রত্যেক বিভাগে দেওয়া হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, আজকের এই মঞ্চকে আমরা বাংলাদেশের সকল ধর্ষকের ফাঁসির মঞ্চ হিসেবে রিপ্রেজেন্ট করতে চাচ্ছি। এখানে একটা দলকে এলিট শ্রেণী দেখে তাদের বিচারকার্য স্থগিত করা যেন না হয়, র‌্যাব আলেপের বিচারকার্য এই ফাঁসির মঞ্চে সম্পন্ন করতে হবে, তেমনি আছিয়ার ধর্ষকের বিচারকার্য এই মঞ্চেই সম্পন্ন করতে হবে। পররাষ্ট্র ক্যাডারের বাবার বিচারও এই মঞ্চেই করতে হবে।
এছাড়াও তারা, ‘ধর্ষকের শাস্তি, মৃত্যু মৃত্যু’, ‘একটা একটা ধর্ষক ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর’, ‘ধর্ষকের ঠিকানা, এ বাংলায় হবে না’, ‘আমার বোন ধর্ষিত কেন? ইন্টেরিম জবাব দে’, ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘ছাত্র সমাজের অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘রাবিয়ানদের অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, ধর্ষকের ফাঁসি চাই’, ‘বিচার বিচার বিচার চাই, ধর্ষকের বিচার চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

আরও খবর

🔝