gramerkagoj
সোমবার ● ১৭ মার্চ ২০২৫ ২ চৈত্র ১৪৩১
gramerkagoj

❒ রুহুল কবীর রিজভী

ইসি সঠিকভাবে কাজ করলে ডিসেম্বর নয়, জুন-জুলায়ে নির্বাচন সম্ভব
প্রকাশ : শুক্রবার, ৭ মার্চ , ২০২৫, ০৪:০৮:০০ পিএম
হাফিজুর রহমান পান্না, রাজশাহী ব্যুরো:
GK_2025-03-07_67cac5be152c7.jpg

নির্বাচন কমিশন যদি সঠিকভাবে কাজ করে তাহলে ডিসেম্বর নয়, জুন-জুলায়ে জাতীয় নির্বাচন সম্ভব। এটি নিয়ে গড়িমসি করলে অর্ন্তবতিকালীন সরকারের প্রতি জনগণের অনাস্থা আসবে- বলে মন্তব্য করেন বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
শুক্রবার (৭ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহীর মহানগরীর ভুবন মোহন পার্কে, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’র আয়োজনে চব্বিশের ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান ও ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে রাজশাহীতে আহত ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের শহীদ পরিবারদের সাথে সাক্ষাৎ ও দোয়ার এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমাদের চূড়ান্ত গণতন্ত্র এখনও ফিরে আসেনি। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা না হলে কোনো মানুষের মুক্তি মিলবে না। আজকে সংস্কারের কথা যারা বলছেন, এই জিনিসটি সংস্কার করতে কতদিন সময় লাগে? পুলিশ আচরণ করবে আইন অনুযায়ী। পুলিশ কোনো ক্ষমতাশালী লোকের কথা শুনবে না। গুম, হত্যা, বেআইনি কাজ হোক আইন অনুযায়ী তাকে প্রেপ্তার করবে।
রিজভী বলেন, সংস্কার করতে কতদিন সময় লাগে? আর বিভিন্ন কমিশন যে করা হয়েছে, সেই কমিশন রিপোর্ট দিয়েছে। এটা মার্চ মাস। নির্বাচনের জন্য গড়িমসি কেনো? আবার শুনি কেউ কেউ বলছেন- এটাও পিছিয়ে দিতে হবে। এই সময়ে নির্বাচন করা কঠিন। নির্বাচন তো করবে নির্বাচন কমিশন। তাকে সহায়তা দেবে সরকার।
রিজভী আরও বলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকারকে আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার মনে করি। ইউনূস সাহেবের নেতৃত্বে এই সরকার। আমরা মনে করি তারা ন্যায়সংগত আচরণ করবে জনগণের সঙ্গে, রাজনৈতিক দলের সঙ্গে। কারণ ড. ইউনূস সাহেব দেশের একজন অন্যমত স্বনামখ্যাত একজন সন্তান। তিনি নিজেই আন্তর্জাতিক সম্মান নিয়ে এসেছেন। তার থেকে আমরা বেআইনি আচরণ পাব না। কিন্তু তারপরও দেখি সরকারের ঘনিষ্ঠ কেউ কেউ বলছেন- ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করা কঠিন। কেনো কঠিন হবে? ইতোমধ্যে তো প্রায় ছয় থেকে সাত মাস চলে গেল। এখনও ৯-১০ মাসের মতো বাকি আছে। নির্বাচন করতে এতো সময় লাগবে কেনো?
রিজভী বলেন, এই নির্বাচন তো শেখ হাসিনা ১৫ বছর আটকে দিয়েছিলেন। ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার আগেই তাদের ভোট দেওয়া হয়ে গেছে। দিনের ভোট রাতে হয়েছে। রাতের ব্যালট বাক্সগুলো পরিপূর্ণ করা হয়েছে। আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থা, নির্বাচনী প্রতিষ্ঠান, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান সবগুলো পা দিয়ে দুমড়ে-মুচড়ে শেষ করে দিয়েছেন শেখ হাসিনা। আমাদের সেখান থেকে ফিরে আসতে হলে এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে সজীব করতে হবে, প্রাণবন্ত করতে হবে। এগুলোর জন্য এতো গড়িমসি কেনো? নির্বাচন কমিশন যদি সঠিকভাবে কাজ করে তাহলে ডিসেম্বরের মধ্যে, ডিসেম্বর কেনো জুনের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব।
রিজভী আরও বলেন, এ দেশের জনগণ দেড় যুগ ধরে নির্বাচনে ভোট দিতে পারে না। আর এটা নিয়ে গড়িমসি করা হলে জনগণের মনে তো সন্দেহ জাগবে এই অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রতি। কোনো এই গড়িমসি করা হচ্ছে। আজকে কেউ কেউ বলছে যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, আরেকটা হচ্ছে গণপরিষদ নির্বাচন একসঙ্গে করতে হবে। এগুলো তো আমরা বুঝতে পারছি। গণপরিষদ হয় যখন একটা দেশ স্বাধীন হয়। যেখানে সংবিধান থাকে না, কোনো ধরনের আইনকানুনের বিষয় থাকে না। তখন গণপরিষদ হয়।

আরও খবর

🔝