gramerkagoj
সোমবার ● ১৭ মার্চ ২০২৫ ২ চৈত্র ১৪৩১
gramerkagoj
আমি কি ভুলতি পারি!
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি , ২০২৫, ১০:০৬:০০ পিএম
:
GK_2025-02-20_67b7537a682c1.jpg

তামান দুইনের মদ্দি আমরাই একমাত্তর জাতি যাইগের ভাষার জন্যি জীবন দিতি হইয়েচে। আমাগের কুটিকালের একুশে ফেব্রুয়ারি আর একনের একুশে ফেব্রুয়ারির মদ্দি অনেক তফাত। একন চারিদিকি চাষের ফুল। পা বাড়ালিই ফুলির দুকান চোকি পড়ে। যারা শহীদ মিনারে শ্রদ্দা জানাতি চান তারা নিজেগের ইচ্চেমত অডার দিয়ে ফুলির তুড়া বানায় নিয়ে যান। টাকা দিলি তুড়া রেডি। অনেকে আবার তুড়ার মদ্দি যে লিকাডা হবে সিডাও আগাম ছাপায় থোয়। কেউ টকাশ কইরে কম্পুটাত্তে এক পাতা ছাপায় নিয়ে আসে।
আর আমাগের সুমায় এই সবের বালাই ছিল না। বাড়ি সুমকি বা আশপাশে লাগানো গেন্দা, মোরগ ঠনঠনে কিম্বা পাকড়া আর পাইলশে মান্দারই পুজি ছিল। তুড়া করার মতোও ফুল জুইটতো না। অনেকে এট্টা ফুল নিয়েও গেচে শহীদ মিনারে। আর শোদ্দা লিকা হইতো হাতে। আট যারা কত্তি পাইত্তো তাইগের বিশাল কদর ছিল এই সব লিকার জন্যি। সব রাইত জাইগে থাইকতো ককন মোরগ ডাক দেবে। সেই ভোরে স¹লি খালি পায় বাইরোয় যাইতো পোভাত ফেরিতে। স¹লি খালি গলায় গাইতো আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি। আমি কি ভুলতি পারি।
তকন ছিল না ফটক তুলার হুড়োহুড়ি, মুবাল, ফেসবুক, সাউন বাইকশো। স¹লির মনে যে ভক্তি ভালবাসা আর শোদ্দা ছিল একন কারো কারো আচরন দেকলি মনে সন্দো জাগে। তকন শহীদ মিনারে কিডা কার আগে দেবে তাই নিয়ে ঠেলাঠেলি ছিল না। এই সব দিবসে আরো এট্টা জিনুস দেকলি জানের মদ্দি কাইন্দে দেয়। কেউ শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে এট্টু তফাতে গেলি কনতে কিডা আইসে দেকি ফুল গুলো ছিনোয় নিয়ে চইলে যায়। শোদ্দার ফুল গুলো অন্তর কিচু সময় শহীদ মিনারে সাজানো থাকলিও দেকতি অনেক ভালো লাগে। কিন্তুক সিডা দেকার কপাল একন অনেকের হয় না। ফুল হরিলুট স¹লির চোকির সুমকি থাকলিও কারো পোতিবাদও কত্তি দেকিনে। তারপরও এইদিনডা আসে মনে করায় দিতি মা’র মুকির ভাষার জন্যি যে সব ভাই ভাগার তাইগের রক্ত আর জীবন দেচেন তাইগের সেই ত্যাগ আমরা যেন ভুইলে না যায়।
অমর একুশের ভাষা শহীদসহ যাইগের ত্যাগের মদ্দি দিয়ে বাংলাভাষা আর এই দিনডা পাইছি তাইগের পোতি বিনম্র শোদ্দা।
ইতি-
অভাগা আক্কেল চাচা

আরও খবর

🔝