gramerkagoj
সোমবার ● ১৭ মার্চ ২০২৫ ২ চৈত্র ১৪৩১
gramerkagoj

❒ বিজ্ঞানীদের উদ্ভট কাজ

তেলাপোকার দুধ নিয়ে গবেষণা করে যা বললো
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি , ২০২৫, ১১:০৫:০০ এএম
কাগজ ডেস্ক:
GK_2025-02-18_67b4153153264.jpg

বিজ্ঞানীরা মাঝে মাঝে কিছু গবেষণা করেন যা শুনলেই মেজাজ খারাপ হওয়ার কথা। তেমনি এক গবেষণা করেছেন তেলাপোকার দুধ নিয়ে। সেটি নিয়ে আবার যা বলেছেন তাও অত্যন্ত বিরক্তিকর। তারা বলেছেন, তেলাপোকার দুধ নাকি ‘সুপারফুড’।
এখন সুপার ফুড হিসেবে তেলাপোকার দুধ খাওয়ার কথা বললে নিশ্চই গা গুলিয়ে উঠবে , নাক সিঁটকানোও খুব দোষের হবেনা। একগ্লাস তেলাপোকার দুধ পেলে কেউ খাবেন কিনা তা নিতান্তই তার ব্যক্তিগত বিষয়। তবে গ্রামের কাগজের পাঠকরা নিশ্চয় এতক্ষণ বিজ্ঞানীদের শ্রাদ্ধ করছেন। সেই সাথে এই ফালতু নিউজ আমরাই বা কেন ছাপছি তা নিয়েও পাঠকরা হয়তো নানা মন্তব্য শুরু করেছেন। আসলে বিজ্ঞানীদের এধরণের উদ্ভট কাজ তুলে ধরাই আমাদের লক্ষ্য। চলুন দেখি সেই কাজের কি ফল।
সাধারণত তেলাপোকা ও এর লম্বাটে ডিমই আমাদের চোখে পড়ে। ডিম ফুটে বেরোয় তেলাপোকার বাচ্চা। তবে তেলাপোকার একটি বিশেষ প্রজাতি বাচ্চা প্রসব করে। আর শিশু তেলাপোকার পুষ্টির চাহিদা মেটে মা তেলাপোকার দুধে। মা তেলাপোকার দেহ থেকে নিঃসৃত এই দুধ ক্রিস্টাল বা স্ফটিকের আকার ধারণ করে। এই দুধ নিয়ে হয়েছে গবেষণা।
কী আছে তেলাপোকার দুধে
তেলাপোকার দুধে আছে প্রোটিন বা আমিষ, শর্করা, স্নেহ পদার্থ, কিছু ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। এই দুধে যে আমিষ আছে, তাতে মানুষের জন্য অত্যাবশ্যকীয় সব কটা অ্যামাইনো অ্যাসিড পাওয়া যায়। অর্থাৎ এটা প্রথম শ্রেণির আমিষ। মানবদেহের জন্য উপকারী ফ্যাটি অ্যাসিড আছে এতে। এসব বিবেচনা করে কেউ কেউ একে ‘সুপারফুড’ ভেবে নিতে পারেন।
তবে মানুষের জন্য এই খাবারের জোগান দিতে হলে বহু তেলাপোকার মৃত্যুর দায়ভার নিতে হবে মানুষকেই। কারণ, মানুষের জন্য দুধের জোগান দিতে বহু মা তেলাপোকাকে হত্যা করে তাদের দেহ থেকে দুধ সংগ্রহ করতে হবে। আর মা তেলাপোকার মৃত্যু হলে দুধের অভাবে শিশু তেলাপোকাও মারা পড়বে। কেবল এক গ্লাস দুধের জন্য হাজার হাজার তেলাপোকার মৃত্যু ঘটানো নৈতিক ও পরিবেশগত দিক থেকে ঠিক কি না, সেটিও এক বড় প্রশ্ন।
তবে পশুপাখি থেকে পাওয়া আমিষের বিকল্প হিসেবে পতঙ্গ থেকে আমিষ গ্রহণের ব্যাপারে কিন্তু বিজ্ঞানীরা আরও গবেষণা করেছেন। অর্থাৎ তেলাপোকাই একমাত্র পতঙ্গ নয়, যাকে পুষ্টির জন্য হত্যা করার কথা ভাবা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক চলতেই পারে। আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, মানুষের জন্য এই দুধ নিরাপদ কি না, সেটিই এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। পাঠক তাহলে বুঝুন বিজ্ঞানীদের কর্মকাণ্ড।

আরও খবর

🔝