শিরোনাম |
❒ আদালতের আদেশ অমান্য করায় এবার যশোর
এবার আদেশ অমান্য করায় তদন্তকারী কর্মকর্তা যশোর উপশহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে পাঁচ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া এক আদেশে এ কারাদণ্ড দিয়েছেন।
সাজাপ্রাপ্ত উপশহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন বিচারক। এরআগে একই ধরনের অপরাধে লেবুতলা ইউনিয়ন ও ইছালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে সাজা প্রদান করা হয়।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১১ জুলাই যশোর উপশহরের সাত নম্বর সেক্টরের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে রবিউল আমিন বাদী হয়ে সদর আমলি আদালতে প্রতারণার অভিযোগে একটি মামলা করেন। এ মামলায় আসামি করা হয়েছিল ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের কাষ্টভাঙ্গা গ্রামের আব্দুল মালেক ও তার স্ত্রী লিলি বেগম ও মেয়ে রিনা বেগমকে। আদালতের তৎকালীন বিচারক অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দিয়েছিলেন যশোর উপশহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে।
এ মামলার ১৪টি ধার্য তারিখ অতিবাহিত হওয়ার পর ২০২৩ সালের ৯ নভেম্বর তদন্তকারী কর্মকর্তা চেয়ারম্যনকে ২০২৪ সালের ৩ মার্চ আদালতে হাজির হয়ে প্রতিবেদন জমা না দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা দেওয়ার আদেশ দিয়েছিলেন বিচারক। ১১ মার্চ ধার্য দিনে তদন্ত কর্মকর্তা চেয়ারম্যান আদালতে হাজির হননি।
বারবার সুযোগ দেয়া সত্বেও তদন্তকারী কর্মকর্তা চেয়ারম্যান আদালতে সময়ের প্রার্থণা বা হাজির হয়ে প্রতিবেদন জমা না দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেননি। ফলে আদালতের আদেশ অমান্য করায় বিচারক তাকে পাঁচ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। একইসাথে মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে যশোর ডিবি পুলিশকে।