শিরোনাম |
ঘটনাটি আসলেই উদ্বেগের। পত্রিকান্তরে খবর বের হয়েছে, মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের ভাব থাকলেও রাখাইনের টাউনশিপ মংডু আরাকান আর্মির দখলের পর অচল হয়ে পড়েছে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত স্থলবন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম। মূলত সীমান্তে নৌপথে আরাকান আর্মির প্রতিবন্ধকতায় স্থলবন্দরে পণ্যবাহী ট্রলার আসছে না বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। সর্বশেষ দেড় মাস পর গত বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন থেকে স্থলবন্দরে আসার পথে নাফ নদের মোহনায় পণ্যবাহী তিনটি কার্গো বোট আটকে রেখেছে সংগঠনটি। এসব বোটে ৫০ হাজার বস্তা পণ্য রয়েছে। তিন দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও রোববার বিকেল পর্যন্ত পণ্যবাহী কার্গো তিনটি মংডু খায়ুংখালী খালে আরাকান আর্মির হেফাজতে রয়েছে।
এ বিষয়ে টেকনাফ স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন বলেন, ‘এখনও পণ্যবাহী কার্গোগুলো ছেড়ে দেয়নি আরাকান আর্মি। এ ঘটনার পর থেকে ব্যবসায়ীরা আতঙ্কের মধ্য রয়েছেন। কেননা, এর আগে থেকে সে দেশের সংঘাতের কারণে ব্যবসায়ীরাদের পণ্য আসা কমেছিল। তবে এই সমস্য সমাধানে সরকারের এগিয়ে আসা উচিত। অন্যথায় টেকনাফ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন ব্যবসায়ীরা।’ এদিকে, মিয়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর রাখাইন রাজ্যে মংডু টাউনশিপ আরাকান আর্মির দখলে নেয়। এরপর থেকে কোনও পণ্যবাহী জাহাজ বন্দরে আসেনি। সর্বশেষ মিয়ানমার থেকে ৩ ডিসেম্বর টেকনাফ স্থলবন্দরে পণ্যবাহী জাহাজ এসেছিল।
স্থলবন্দর একাধিক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেড় মাস পর মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন থেকে গত শনিবার সে দেশের ব্যবসায়ী তারুয়া মিতা, সৌ টাংসহ কয়েকজন ব্যবসায়ীর পণ্যবাহী কার্গো বোট টেকনাফ স্থলবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়। পাচঁ দিনের মাথায় কার্গোগুলো গত বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় নাফ নদের মোহনায় মিয়ানমারের জলসীমায় তল্লাশির নামে কার্গো তিনটি আটকে দেয় আরাকান আর্মি। সেখানে ৫০ হাজারের বেশি বস্তা মালামাল রয়েছে।
মিয়ানমারে ২৭১ কিলোমিটার সীমান্ত আরাকান আর্মি দখলের নেওয়ার পর থেকে ভয়ভীতিতে ছিল সীমান্ত ব্যবসায়ীরা। আরাকান আর্মি নিজেদের রাষ্ট্র ঘোষণা করে বাণিজ্যে ভাগ বসানোর চেষ্টায় ছিল তখন থেকে। তারই অংশ হিসেবে গত ১৬ জানুয়ারি টেকনাফ স্থলবন্দরে আসার পথে পণ্যবাহী কার্গোগুলো আটক করেছে বলে জানিয়েছেন স্থলবন্দরের এক ব্যবসায়ী। এই উদ্বেগজনক ঘটনাটির অবিলম্বে শান্তিপূর্ণ সমাধান দরকার।