শিরোনাম |
নওগাঁর মহাদেবপুরে ডাকাতি সহ গণধর্ষণ মামলায় আন্তজেলা ডাকাত দলের সাতজনকে গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের সভাকক্ষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার সাফিউল সারোয়ার।
তিনি বলেন, গত ৯ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ১১ ঘটিকায় সময় মহাদেবপুর থানাধীন খাজুর গ্রামস্থ একটি বাড়িতে প্রবেশ করে অজ্ঞাতনামা একটি ডাকাত দল বাড়ির লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে একটি স্বর্ণের চেইন নগদ টাকা এবং একটি মোবাইল ফোন ডাকাতি করে। ডাকাতির এক পর্যায়ে ডাকাত দল গৃহবধূকে জোরপূর্বক অপহরণ করে বাড়ি থেকে প্রায় হাফ কিলোমিটার দূরে ফাঁকা মাঠে নিয়ে পর্যায়ক্রমে গণধর্ষণ করে। খবর পেয়ে মহাদেবপুর থানা পুলিশ দ্রুত এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে গ্রামবাসীর সহায়তায় ভিকটিমকে উদ্ধার করে। ঘটনার পর পরই পুলিশ ডাকাতদের সনাক্তকরণ গ্রেপ্তার এবং লুণ্ঠনকৃত মালামাল উদ্ধারে কাজ শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গতরাতে প্রযুক্তির সহায়তায় নওগাঁ জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ডাকাত দলের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হয়।আসামীরা হল- চক জামদই মুচিপাড়া গ্রামের মান্দা থানার মৃত আজির মন্ডল এর ছেলে শরিফুল ইসলাম পচা (২৯), চকজামদই গ্রামের মান্দা থানার মোঃ লুৎফর রহমানের ছেলে তারেক হোসেন (২৬), বনসেতর গ্রামের মান্দা থানার মোঃ মনির উদ্দিন শেখের সোলাযইমান আলী (৩৮), জিনার পুর (সাবিলপুর) গ্রামের নিয়ামতপুর থানার মোঃ শহিদুল ইসলামের ছেলে রিপন আলী (৩০), গৌড়রা বৌদ্দপুর গ্রামের মান্দা থানার মো: মাসুদ রানা সর্দারছেলে ফারুক হোসেন ও রকেট সরদ (৩২),চক কন্দর্পপুর গ্রামের মহাদেবপুর থানার মোঃ জিল্লুর রহমানের ছেলে সাগর হোসেন (১৯), এবং বন্দিপুর গ্রামের মান্দা থানার মো: মাসিদুল মাসুদ রানার ছেলে রুবেল সরদার (২৮), এরা সকলেই নওগাঁ জেলার বাসিন্দা।
তিনি আরো বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিদের তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দুটি ধারালো হাসুয়া উদ্ধার করা হয় এবং গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে তিনজন বিজ্ঞ আদালতে তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।