gramerkagoj
মঙ্গলবার ● ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ ৩০ পৌষ ১৪৩১
gramerkagoj
Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

❒ ওবায়দুল কাদের ইস্যুতে থানায় অভিযোগ

এবার নিক্সন চৌধুরীকে জামাত আমিরের বাড়ি থেকে আটকের গুজব ছড়ালো বিতর্কিত জনি
প্রকাশ : শনিবার, ১১ জানুয়ারি , ২০২৫, ১১:১৪:০০ পিএম
শিমুল ভুইয়া ::
GK_2025-01-11_6782a8e689bb4.jpg

যশোর জেলা যুবদলের বহিস্কৃত প্রচার সম্পাদক এস্কেন্দার আলী জনি এবার ফেসবুকে ফরিদপুরের সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সনকে জামায়াতের আমিরের বাড়ি থেকে আটকের গুজব ছড়িয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। এরআগে তিনি ফেসবুকে লাইভে এসে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবাইদুল কাদের, শেখ হেলালসহ শেখ হাসিনা পরিবারের চার সদস্যকে যশোর যুবদলের নেতাদের সহযোগিতায় বেনাপোল দিয়ে ভারতে পাঠানো হয়েছে গুজব ছড়িয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন।
শনিবার দুপুরে এস্কেন্দার আলী জনি তার ফেসবুকে নিক্সন চৌধুরীকে মাঝে রেখে দুইপাশে সেনাবাহিনীর দুইজন সদস্যকে রেখে একটি ছবি পোস্ট করেন। সেখানে ক্যাপশান লেখেন জামাতের আমীরের বাড়ি থেকে সন্ত্রাসী দুর্নীতিবাজ নিক্সন চৌধুরী আটক। জনি ছাড়াও ওই ছবি ও পোস্ট অন্যরাও ফেসবুকে শেয়ার শুরু করেন। শনিবার বিকেলে এটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঝড় উঠে। তবে, ফ্যাক্টচেক প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যানার এ ছবি ভুয়া বলে উল্লেখ করেছে।
রিউমর স্ক্যানার জানায়, নিক্সন চৌধুরীর ছবিটি সম্পাদিত। মূলত যৌথবাহিনীর হাতে কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর এহসান উল্লাহর আটকের ছবিতে নিক্সন চৌধুরীর মুখের অংশ যুক্ত করা হয়েছে। একজন সম্মনিত রাজনীতিকে নিয়ে এ ধরনের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন যশোর জেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দ। তারা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
যশোর জেলা জামায়াতে ইসলামীর প্রচার সেক্রেটারি শাহাবুদ্দিন বিশ^াস বলেছেন, একজন আমির সম্মানিত ব্যক্তি। তাকে নিয়ে এ ধরনের গুজন ছড়ানো গর্হিত অপরাধ ও নিন্দনীয়। তিনি বিষয়টির প্রতিবাদ জানান। একইসাথে গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
এদিকে, ফেসবুকে ওবাইদুল কাদেরকে ভারতে পাঠানোর সাথে যুবদল জেলা সাধারণ সম্পাদকের যুক্ত থাকার ভুয়া তথ্য প্রচারের দায়ে জনির বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক কামরুল ইসলাম। তিনি সাইবার নিারপত্তা আইনে মামলা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
গত ৮ জানুয়ারি যশোর কোতোয়ালি থানায় দেয়া অভিযোগে কামরুল ইসলাম উল্লেখ করেছেন, এস্কেন্দার আলী জনি সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপের কারণে তাকে জেলা যুবদলের প্রচার সম্পাদক থেকে গত ১৭ ডিসেম্বর বহিস্কার করে কেন্দ্রীয় কমিটি। এরপর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে যায়। ফেসবুকে এসে ইচ্ছেমতো যাকেতাকে নিয়ে অপ্রীতিকর মন্তব্য করেন তিনি। তার হাত থেকে রেহাই পাননি কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, জেলা বিএনপির অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতারাও। সর্বশেষ গত ৭ জানুয়ারি ও ৯ জানুয়ারি ফেসবুক লাইভে এসে মন্তব্য করেন ওবাইদুল কাদের যশোরে এসে ক্যান্টেনমেন্ট ছিলেন। পরে সেখান থেকে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হক রানা তাদেরকে ভারতে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন।
এ বিষয়ে জেলা যুবদলের নেতৃবৃন্দ জানান, ওই খবর বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রচার করা হয়। সমালোচনার ঝড় উঠে বিভিন্ন মহলে। তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে। এ মন্তব্যে যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সম্পাদক এবং জেলার বিএনপি নেতা ও অঙ্গসংগঠনের নেতাদের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। তারা এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানায় আইনি সহায়তা চেয়েছেন।
যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক অভিযোগ গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছেন। এ ব্যাপারে দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

 

 

 

আরও খবর

Ad for sale 225 x 270 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
🔝