শিরোনাম |
গেল ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের দেশ ত্যাগের পর থেকেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী্রা লাপাত্তা। অভিনেত্রী নিপুণ আক্তারও এ তালিকায় আছেন। কেননা আওয়ামী রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন তিনি। চাউর হয়েছিল গ্রেফতার আতঙ্কে থাকা নিপুণ চলে গেছেন দেশের বাইরে। কিন্তু না, তিনি দেশেই ছিলেন। গোয়েন্দা সংস্থার আপত্তির প্রেক্ষিতে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডন যাওয়ার সময় অভিনেত্রী নিপুণ আক্তারকে আটকে দিয়েছে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকালে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের বিজি-২০১ ফ্লাইটে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে যাওয়ার সময় তার পাসপোর্ট অফলোড করে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ। তাকে আটকের পর পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি সূত্র জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, শুক্রবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে যুক্তরাজ্যগামী বাংলাদেশ বিমানের বিজি ২০১ ফ্লাইটের যাত্রী ছিলেন নিপুণ। মুখে মাস্ক পরে বোর্ডিং পাস শেষ করে ইমিগ্রেশন শেষ করার এক পর্যায়ে তাকে চিনে ফেলেন ইমিগ্রেশন বিভাগের দায়িত্বশীলরা। পড়ে তাকে ইমিগ্রেশন পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। একই সঙ্গে ওই ফ্লাইটে তার যাত্রা বাতিল করা হয়।
সূত্র জানায়, চিত্রনায়িকা নিপুণ বিমানবন্দরে নিজেকে নাসরিন আক্তার দাবি করেন। তার পাসপোর্টেও নাম রয়েছে নাসরীন আক্তার। পাসপোর্টে স্থায়ী ঠিকানা ঢাকার বনানী উল্লেখ রয়েছে।
এদিকে একটি সূত্র বলছে, ফ্লাইট বাতিল হওয়ার পর তাকে ইমিগ্রেশন থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। পরে তিনি বিমানবন্দর থেকে বাইরে চলে গেছেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শোবিজে আওয়ামীপন্থি তারকাদের অনেকে আত্মগোপনে চলে যান। চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার দেশে নাকি লন্ডনে সেটি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। আগেই গুঞ্জন উঠেছিল লন্ডনে পাড়ি জমিয়েছেন তিনি।
তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয় দেশেই রয়েছেন নিপুণ। দেশেই আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে দেশ ছাড়তে পারেননি।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে আলোচিত হন এই অভিনেত্রী। বিশেষ করে সমিতির নির্বাচনে পরাজিত হয়ে মামলা করে চেয়ারে বসে হন বিতর্কিত। এফডিসিকেন্দ্রিক একটি শক্তির প্রকাশ করেন নিপুণ। এ সময় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার সহযোগিতা নেন তিনি। আওয়ামী সরকারের পতনের পর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে থাকে।