শিরোনাম |
ছেলেপিলের পড়ালিকা নিয়ে বাপ মার চিন্তের অন্ত নেই। একদিকি যিরাম বাইড়েচে শিক্কে ব্যয় সিরাম ভত্তি আর বই পাওয়া নিয়ে চিড়ে চ্যাবডা অবস্তা। ভাবিলাম পয়লা তারিকিও না পালি অল্প কয়দিন বাদে হয়ত ছেলেপিলে নতুন বই পাইয়ে যাবেনে। কিন্তুক সেদিন শিক্কে উপদিস্টা চাচা যে বয়ান দেচেন তাতে বুকোয় পড়লাম। তিনি চুয়াচুয়ি কইয়ে দেচেন চলতি শিক্কে বষষে শিক্কের্ত্থীরা কবে নাগাদ সব নতুন বই পানে সিডা তিনি জানেন না।
উনি যদি ইরাম কতা কন তালি আর যাবে কনে! যারা বই ছাপায় তারা যে বয়ান দেচে সিডাও সিরাম আশাদায়ক না। পয়লা জানুয়ারি শুরু হয়েচে নতুন শিক্কেবষষো। জাতীয় শিক্কেক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোডের দিয়া তত্য মতে নতুন শিক্কেবষষে চার কোটির মতো শিক্কের্থীর জন্যি পিরায়মারি ও হাই ইশকুল পযযায়ে পিরায় ৪১ কোটি বই ছাপানো হচ্চে। এর মদ্দি পিরায়মারির মোট পাঠ্যবই ৯ কোটি ৬৪ লক্কের মতো। ৫ জানুয়ারি পন্তিক ছাড়পত্তর করা হইয়েচে ৪ কোটি ২৪ লক্কোর মতো বই। ছাপা হইয়েচে নাই আরেট্টু বেশি ৪ কোটি ৮১ লক্কোর মতো। এর মদ্দি পেত্তম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় কিলাসের পাঠ্যবই ছাপার অগ্রগতি অনেক ভালো। কিন্তুক চতুত্ত ও পঞ্চম শেণির ৪ কোটি বেশি বই’র মদ্দি ১৬ শতাংশের মতো ছাড়পত্তর হইয়েচে। হাই ইশকুল পযযায়ে (মাদরাসা ইবতেদায়ী সমেত) বই’র সংখ্যা ৩০ কোটি ৯৬ লক্কোর মতো। এনসিটিবির এট্টা সূত্র জানায়েচে, ৫ জানুয়ারি পন্তিক মাধ্যমিকির ২ কোটি ৩৭ লক্ক ৫১ হাজারের মতো পাঠ্যবই’র ছাড়পত্তর করা হইয়েচে। তেবে হ্যানে ছাপা হইয়েচে মোট ৩ কোটি ৮১ লক্কোর মতো বই। শিক্কে উপদিষ্টা চাচা কেন কতি পারবেন না সিডার এট্টা ব্যাখা দেচেন। তিনি কইয়েচেন নতুন বইতি বহুত কিচু বদলা বদলি করা হইয়েচে। বিদেশের কোনটোও কোন বই ছাপা হচ্চে না। আর এ বচরই বুজা গেল, সবগুলো গোডাউনি যেসব আট পিপার জমা ছিল, সেগুলো সব উদ্দার করার পরও দেকা গেল যে দেশের মদ্দি আপাতক ঘাটতি আচে।
আট পিপার নিয়ে বিদেশতে জাহাজ রওনা হয়ে গেচে। সেই জাহাজ আসার পর ছাপা ফেত্তে ইস্টাট হবে। তালি ছেলেপিলের কি হবে কওদিনি বাপু ! আলাম কনে, মলাম যে!
ইতি-
অভাগা আক্কেল চাচা