gramerkagoj
মঙ্গলবার ● ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১ মাঘ ১৪৩১
gramerkagoj
Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)
খাওয়ার পর কফি পানের ভালো-মন্দ
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি , ২০২৫, ০৮:৫৯:০০ পিএম
কাগজ ডেস্ক:
GK_2025-01-09_677fe46c634e7.jpg

কফি একেকজনকে একেকভাবে প্রভাবিত করে। খাওয়ার পর চা বা কফি পান নিয়েও রয়েছে নানান মতামত। তবে ক্ষতিকর কি-না সেই বিষয়ে রয়েছে বিতর্ক।
এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পিটসবার্গ’য়ের ‘ফাংশনাল মেডিসিন’য়ের ক্লিনিকাল পরিচালক ও চিকিৎসক উইল কোল ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “খাবারের পরে কফি পানের ভালো খারাপের দিকটা নানান বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। দেখতে হবে যে কে, কতটা আর কী ধরনের কফি পান করছে।”
কোলের মতে, স্বাস্থ্যোপকারিতার ভিত্তিতে একটা বিতর্কিত পানীয় কফি।
তিনি বলেন, “উচ্চ মানের কফি পুষ্টি সমৃদ্ধ পানীয়। যা বেশি পরিমাণে ক্যাফেইন সরবারহ করে। পাশাপাশি পাওয়া যায় পলিফেনল, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এসব দীর্ঘস্থায়ী রোগ, এমনকি মৌসুমি অ্যালার্জি থেকে সুরক্ষিত রাখে।”
তিনি আরও জানান, কফি পান হজমে সহায়তাও করতে পারে। এটা হজমতন্ত্রের গতিশীলতা ও পিচ্ছিলভাব উন্নত করে সক্রিয় রাখতে সহায়তা করে। তবে কফি একেকজনকে একেকভাবে প্রভাবিত করে।
কোল লক্ষ্য করেছেন যে, অনেকে সামান্য বা একেবারেই ক্যাফেইন সহ্য করতে পারেন না।
তিনি বলেন, “অনেকেরই ক্যাফেইন বিপাকের ক্ষমতা নেই। সেক্ষেত্রে ক্যাফেইন দেহে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে। ফলে উদ্বেগ, হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি, মনযোগের ঘাটতি ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়।”
রাতের খাবারের পরে কফি পান, আসলে কী হয়?
সারাদিন কয়েকবার কফি পানে অভ্যস্ত হলেও সন্ধ্যার পরে কফি পান না করাই ভালো। কোলের কাছ যারা সেবা নিতে আসেন তাদেরকে তিনি বেলা তিনটার পরে কফি পান না করার পরামর্শ দেন।
কফির প্রতি সংবেদনশীলতা থাকলে তা গ্রহণ করার মাত্রা কমানো উচিত।
“যদিও কফি হজম ও অন্ত্রের সুস্থতায় ভূমিকা রাখে। তবে ক্যাফেইন অনেকক্ষেত্রেই ঘুমের ঘাটতি, অন্ত্রের জটিলতা ও সার্বিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব রাখতে পারে,” বলেন কোল।
তবে কফি প্রেমীদের জন্য সুখবর হল, সন্ধার পরে চাইলে এক কাপ ডিক্যাফ (ক্যাফেইন কম বা মুক্ত কফি) পান করা যেতে পারে বলে জানান, কোল। এতে ঘুম বা হজমের কোনো সমস্যা হয় না।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘স্লিপ ফাউন্ডেশন’য়ের তথ্যানুসারে, যদি সন্ধ্যায় ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় পানের পরেও ঘুমিয়ে পড়তে সক্ষম হয় তাহলে বুঝতে হবে- জেগে ওঠার পর ঘুমের মোট সময়কাল, কার্যক্ষমতা ও বিশ্রামকে প্রভাবিত করতে পারে।
২০১৩ সালে ডেট্রয়েটের ‘স্লিপ ডিসঅর্ডার অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার’য়ের এক পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ঘুমানোর ছয় ঘন্টা আগে ১৬ আউন্স বা এক কাপ পরিমাণ কফি পান ঘুমের সময় এক ঘণ্টা কমিয়ে আনে।
যদিও রাতে এক কাপ কফি পান হজমে সহায়তা করে। তবে ঘুমের মানের ওপর প্রভাব রাখে।
বিকল্প পানীয় হিসেবে ডা. কোল, সন্ধ্যায় আদা চা পান করার পরামর্শ দেন। এতে সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। পাশাপাশি হজমতন্ত্রের জন্যেও উপকারী। আর আদার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে।

আরও খবর

Ad for sale 225 x 270 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
🔝