gramerkagoj
শনিবার ● ১৭ মে ২০২৫ ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
gramerkagoj

❒ প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট

বালকে সলুয়া ॥ বালিকায় বেনেয়ালী চ্যাম্পিয়ন
প্রকাশ : বুধবার, ৮ জানুয়ারি , ২০২৫, ০৭:১৭:০০ পিএম , আপডেট : শুক্রবার, ১৬ মে , ২০২৫, ১০:৩০:০৯ পিএম
ক্রীড়া ডেস্ক:
GK_2025-01-08_677e884155632.JPG

যশোরে বুধবার অনুষ্ঠিত প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বালক বিভাগে চৌগাছা উপজেলার সলুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বালিকা বিভাগে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে ঝিকরগাছা উপজেলার বেনেয়ালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। জেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কল্যাণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দু’টি এবার অংশ নেবে খুলনা বিভাগীয় পর্যায়ে।
ম্যাচে সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন বালক বিভাগে চৌগাছা উপজেলার সলুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নয় নম্বর জার্সিধারী জুনায়েদ গাজী। বালিকা বিভাগে সেরার খেতাব পেয়েছেন ঝিকরগাছা উপজেলার বেনেয়ালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই নম্বর জার্সি পরিহিত শান্তা।
সদর উপজেলার বিরামপুর আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে প্রথমে অনুষ্ঠিত হয় বালক বিভাগের ফাইনাল ম্যাচ। এ ম্যাচে নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে ৪-০ গোলে জয় পেয়েছে চৌগাছা উপজেলার সলুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। তাদের কাছে পরাজিত হয়েছে ঝিকরগাছা উপজেলার বেনেয়ালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখল থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই প্রতিপক্ষ দল থেকে অনেকটা এগিয়ে ছিল। খেলার দশ মিনিটে সলুয়া স্কুলের আবু সাঈদ প্রথম গোল মুখ খোলেন। এরপর একে একে ম্যাচের ১২, ২০ ও ২৪ মিনিটে তিনটি গোল করে হ্যাট্রিক খেলোয়াড় হিসেবে মেলে ধরেন জুনায়েদ গাজী।
একইস্থানে বালক বিভাগের ফাইনাল ম্যাচ শেষে অনুষ্ঠিত হয় বালিকা বিভাগের ফাইনাল ম্যাচটি। এ ম্যাচে সেরা হওয়ার লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয় ঝিকরগাছা উপজেলার বেনেয়ালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শার্শা উপজেলার কায়বা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ ম্যাচে দু’দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে খুব বেশি ফুটবল শৈলী ফুটে ওঠেনি। তারপরও বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে জলার বেনেয়ালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বালিকারা। তাদের কাছে ৫-০ গোলের বড় ব্যবধানে হারের স্বাদ পেয়েছে কায়বা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এ ম্যাচে মূলত একক চালিকা শক্তি ছিল বেনেয়ালী স্কুলের দুই নম্বর জার্সিধারী শান্তা। তিনি একাই করেছেন চারটি গোল। এ প্রতিযোগিতায় তিনিই ছিলেন মূলত গোল মেশিন। তিনি ম্যাচের চার, ১০, ১৯ ও ৩২ মিনিটে গোলগুলো করেছেন। তবে এসব গোল পেতে বেশি সহায়তা দিয়েছেন প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক। কারণ ঠিকভাবেই বলগুলো নিজ দখলে নিতে পারেননি গোলরক্ষক। এছাড়া অপর গোলটি করেছেন ম্যাচের ১৪ মিনিটে তুহা খাতুন। প্রতিপক্ষ দলটি গোল করার মত কোন সুযোগই সৃষ্টি করতে পারেননি।
খেলা শেষে প্রধান অতিথি জেলা প্রসাশক আজাহারুল ইসলাম বিজয়ী ও বিজিতদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুল আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) খান মাসুম বিল্লাহ। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুনসহ বিভিন্ন শিক্ষা কর্মকর্তা, বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।

আরও খবর

🔝