শিরোনাম |
একবার গুপাল ভাড় এক গিরামে বেড়াতি গেচে। গুপাল ভাড় আইয়েচে এই খবর চাউর হতিই ছাবাল বুড়ো ছুড়ো বিটিরা পন্তিক জড়ো হইয়েচে। লোকজন তারে ঘিরে ধইরে কলে, তাইগের লগুড়ে গল্প শুনোতি হবে। গুপাল তো ফেলো কড়ি মাকো তেল ধারায় চলে। তার চুয়াচুয়ি কতা ট্যাকে মালকড়ি না পড়লি তার চুপা খোলবে না। স¹লি যকন বুজদি পাইরেচে গুপালরে ঘাটায়ে লাভ হবে না, তকন এক বিটি আইগোয় আইসে তার হাতে পঞ্চাশ পয়সার এট্টা আধলি দিয়ে গল্প শুনোতি কলে। গুপাল ভাড় আধলিডা কপালে ঠেকায়ে গাটে রাকতি রাকতি শুরু কল্লে এক রাজ রাজড়াগের গল্প।
এক ছিলো রাজা, তার ছিলো দুই রানি। বড়ডার নাম সুয়োরানি ছোটটার নাম দুয়োরানি। রাজা একদিন এক জাগায় বেড়াতে গিলেন। স্যান্তে ফিরে যকন অন্দর মহলে ঢুইকেচেন তকন দেকেন দুই রানি পান্তাভাত কাচাঝাল আর পিয়াজ দিয়ে মাকায়ে মনের সুকি গপাগপ খাচ্চে। তাই দেইকে রাজা তো আকাটা মাইরে গেচে। এই টুক কতিই গল্প শুনা গিরামের মাইয়ে ঝিবুতরা গ্যাঙায় উইটে কলে কি সব কি কচ্চেন আপনি। রাজার বউ রানিরা পান্তা ভাত খাবে কেন? তাই শুইনে গুপাল ভাড় নিকচোতি নিকচোতি কলে, পঞ্চাশ পয়সায় পান্তাভাত খাবে না তো কি ঘি-ভাত খাবে?
গল্পোর গুপাল ভাড়ের মতো একই কতা আমাগের বাজারে গেলি দৈনিক শুনতি হচ্চে। দিন দিন আয় বাড়ার কোন খবর নেই, ব্যয় বাইড়ে চইলেচে পাল্লাপাল্লি দিয়ে। বাজারে যাতি গচ্চে গাটিতি খইতে গুইজে নিয়ে, যাতে কেউ টের না পায় বাজার কত্তি আইচি। ভাবডা ইরাম এই পতে যাচ্চিলাম, দুডো এট্টা জিনুসির দাম শুইনে যাচ্চি এই যা। তা না হলি পদে পদে হ্যারেজ খাইয়ে যাতি হচ্চে। এমনি নাচুনি বুড়ি তার ওপর ঢোলের বাড়ির মতো দশা দাম বাড়ানোয়ালাগের। বাজারে জিনুসির দাম বাড়ানোর উসলোতের শেষ নেই সব্বশেষ তেলের দাম বাড়ার সাতে সাতে এ্যাবার উথলে উইটেচে।
সুমানে জিনুস পত্তরের দাম বাড়ানো হচ্চে, কোনোডা সদরে, কোনোডা চাপনিতি। বাড়িত্তে বাজারে যাতি কলি কুককুড়ি খেলতি হচ্ছে। গরীবির দুক্কু কেউ বুজতি চায় না। যাইগের দেড়ি ইনকাম আচে তাইগের হয়ত মচ্চিমুলামে চইলে যাচ্চে। কিন্তুক আমাগের মতো যারা খেড়িখুদা তাইগের মরার জুগাড়।
ইতি-
অভাগা আক্কেল চাচা