শিরোনাম |
১৮ ডিসেম্বর রাতে থেকে যশোর জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। তাতে দেখা যায় অস্ত্র হাতে মুখ ঢাকা দুই দেহরক্ষীর মাঝখানে মুখ ঢাকা এক ব্যক্তি আরবিতে বক্তব্য দিচ্ছেন, এ রকম ভিডিওতে ‘জিহাদের ডাক’, ‘দেশে অবাধে জঙ্গি চাষবাস' এ ধরনের ক্যাপশন জুড়ে দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন অনেকেই। এছাড়া ভারতীয় রিপাবলিক বাংলা এই খেলনা বন্দুককে একে-৪৭ নাম দিয়ে প্রতিবেদন প্রচার করেছে।
ফ্যাক্টচেক
গ্রামের কাগজ ফ্যাক্টচেক টিম সরোজমিনে যশোর জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসায় গিয়ে কথা হয় প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত মুহতামিম মাখফুর রহমান সাথে তিনি জানিয়েছেন, প্রতিবছরের মতো এবারও চলতি মাসের ১৭ ও ১৮ ডিসেম্বর এই মাদ্রাসাতে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে গজল, বাংলা, আরবি, হামদসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতা হয়। ঐ অনুষ্ঠানে ইসরাইল যেভাবে ফিলিস্তিন মুসলমানের উপর নির্যাতন করছে সেটা নিয়ে একটি নাটক মঞ্চস্থ হয়। কিতাব বিভাগের তিন শিক্ষার্থী নাটকটি মঞ্চায়ন করেন। ওদের মধ্যে একজন ফিলিস্তিন নেতা সেজে আরবিতে বক্তব্য দেয়। কিন্তু এই মঞ্চায়নে সত্যিকারের বন্দুক বা সামগ্রিকভাবে 'জিহাদের ডাক' দেওয়ার মত কোনো বিষয় ছিলো না। ভিডিও লিংক.......https://youtu.be/z5Qn01eAbeI
গ্রামের কাগজ ফ্যাক্টচেক টিম সরোজমিনে জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা যায় সাদা ককশিট বা সোলা দিয়ে বানানো বন্দুক দুটিতে কালো রং করা হয়েছে। যশোর জামিয়া ইসলামীয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও শিক্ষা সচিব জানিয়েছেন, বার্ষিক আঞ্জুমানের (প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান) সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী মানুষের লড়াই-সংগ্রামের বিষয়টি অভিনয় করে উপস্থাপন করেছেন। তিনি আরোও বলেন, “এটি শুধুমাত্র অভিনয়, কোনোভাবেই এর সঙ্গে বাস্তবিক কিছু নেই।
যশোর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরে আলম সিদ্দিকী ব্রিফিং করে জানান, এটি শুধুমাত্র অভিনয় বা নাটক এটার সাথে জিহাদি বা জঙ্গি তৎপরতা কোন অবকাস নেই ।ভিডিও লিংক.......https://youtu.be/z5Qn01eAbeI
সুতরাং, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, পুলিশের ব্রিফিং থেকে এটা স্পষ্ট যে, মাদ্রাসার ভিডিওটিতে কোন জঙ্গি তৎপরতা চলছিল না, এটি একটি মঞ্চ নাটকের দৃশ্য। ফলে সঙ্গত কারণে, ফ্যাক্টওয়াচ ভিডিওর সঙ্গে জিহাদি বা জঙ্গি তৎপরতার অভিযোগগুলোকে বিভ্রান্তিকর হিসেবে চিহ্নিত করছে।