শিরোনাম |
❒ অপচিকিৎসায় মৃত্যুমুখে পতিত এক নারী
বাঘারপাড়ার খানপুর বাজারের ভুয়া ডাক্তার মামুন মোল্লার অপচিকিৎসা ও এক নারী মৃত্যুমুখে পতিত হওয়ার ঘটনায় মামলা করে এখন নানামুখি হুমকিতে পড়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার। আদালতে মামলার পর তদন্ত শুরু হলে অভিযুক্ত মামুন নানামুখি দৌড়ঝাঁপ করাসহ তার লোকজন দিয়ে মামলার বাদী ও তার পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিচ্ছেন মামলা তুলে নিতে।
এ ঘটনায় বাদী খানপুরের শহিদুল ইসলাম, অপচিকিৎসা ঘটনার শিকার তার স্ত্রী সেলিনা বেগমসহ সংশ্লিষ্টরা রয়েছেন চরম নিরাপত্তাহীনতায়। তারা দ্রুত ভুয়া ডাক্তার মামুন ও তার আজ্ঞাবহদের আটক করতে দ্রুত পুলিশি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
গত ১৩ নভেম্বর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বাঘারপাড়ার আমলী আদালতে দায়ের করা একটি মামলায় বলা হয় খানপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা খাতুন অসুস্থ হলে এলাকার আব্দুল বারেক মোল্লার ছেলে মামুন মোল্লা নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে গত ২৭ সেপ্টেম্বর চিকিৎসা শুরু করেন। ওই দিন খানপুর বাজারে তার মামুন হোমিও হল নামে একটি ঘরে নিয়ে হোমিও ওষুধ দেন। মামুনের দেয়া ওষুধ সেবন করলে সুস্থ হওয়ার পরিবর্তে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিষয়টি ডাক্তার মামুনকে জানালে তিনি নিয়মিত ওষুধ সেবন করার পরামর্শ দেন। একপর্যায়ে রোগীর সারা শরীর ফুলে যায় এবং শ্বাসপ্রশ্বাসে কষ্ট হয়। পরদিন রোগীর অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় তাকে যশোর শহরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ৪ দিন ভর্তি থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করে কিছুটা সুস্থ হন। ভুল হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীকে মৃত্যুর মুখে পতিত করার অভিযোগে রোগী সেলিনার স্বামী শহিদুল ইসলাম তিনি আদালতে এ মামলা করেন। বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ২৮ ও ২৯ ধারা তৎসহ ৩৩৬/৩৩৮ দন্ডবিধিতে এই এজাহার দেয়া হয়। আর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকিয়া সুলতানা অভিযোগটি যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দেন।
এদিকে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু ও থানা পুলিশ খোঁজখবর নেয়ায় তিনি মামলার বাদী শহিদুল ইসলাম ও ভুক্তভোগী সেলিনা বেগমসহ তার পরিবারের সদস্যদের নানামুখি হুমকি দিচ্ছেন। মামলা তুলে না দিলে অবস্থা বেহাল করা হবে, এমনকি প্রাণে মারারও হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ শহিদুল ইসলাম ও তার পরিবারের লোকজনের।
শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন, নিজেকে প্রসিদ্ধ হোমিও চিকিৎসক দাবি করে মামুন তার স্ত্রীকে খানপুর বাজারস্থ "মামুন হোমিও হলে নিয়ে অপচিকিৎসা দেন। পরে তিনি আরো জানতে পেরেছেন হোমিওপ্যাথিক পাশ না করেই চিকিৎসক সেজে সাইনবোর্ড ঝুলিয়েছেন মামুন। এখন তার স্ত্রী মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছে, আর তারা উল্টো হুমকিতে আছেন। মামুনের কঠোর শাস্তি চেয়েছেন তিনি।
এ ঘটনায় মামুনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।