শিরোনাম |
‘বাংলাদেশে হিন্দুদের নির্যাতন এবং ইসকনের বহিস্কৃত নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে নিঃশর্ত মুক্তি ও বাংলাদেশে ভারতীয় পতাকার অবমাননার’ প্রতিবাদে সোমবার দুপুরে ভারতের হরিদাসপুর পেট্রাপোল সীমান্তের পাশে প্রধান সড়কে পেট্রাপোল চলো নামে এক প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিজেপি।
বনগাঁ মহাকুমা বিজেপির উদ্যোগে পেট্রাপোল পঞ্চায়েতে জনসভাটি বাস্তবায়ন করা হয়। ‘পেট্রাপোল চলো’ নামে প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বনগাঁ মহাকুমা বিজেপির সভাপতি দেবদাস মন্ডল। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির সভাপতি শুভেন্দু অধিকারী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বনগাঁ লোকসভা আসনের এমপি শান্তনু ঠাকুর, বনগাঁর ৯৫ এর বিধায়ক অশোক কিত্তোনী, ৯৬ এর বিধায়ক স্বপন মজুমদার, ৯৭ এর বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর ও কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায়। এসময় রাজ্যের সকল এমপি, এমএলএসহ দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন বলে ওপারের একটি সূত্র থেকে জানা গেছে।
জনসভা শেষে বিকেল সাড়ে ৩টায় শুভেন্দু অধিকারী ও বনগাঁ লোকসভা আসনের এমপি শান্তনু ঠাকুর এবং বনগাঁর বিধায়ক অশোক কিত্তোনীয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অভিমুখে একটি প্রতীকি পদযাত্রা বের হয়। এসময় বিক্ষোভকারীরা নোম্যান্সল্যান্ড অভিমুখে রওনা দিয়ে একশ’ গজ আগে মিছিল শেষ করেন। মিছিলটি ঘুরে সিডব্লিউসিএস অর্থ্যাৎ পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। সেখানে এক সংক্ষিপ্ত পথসভায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘বাংলাদেশের ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। না হলে বাংলাদেশে সাথে সকল প্রকার আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দেয়া হবে।
পেট্রাপোল জনসভার বিষয়ে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ মো. আহসানুল কাদের ভূইয়া জানান, ভারতের হরিদাসপুর পেট্রাপোল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় দুদেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক ছিল।