শিরোনাম |
জুলাই আগস্টের বিপ্লবে শহীদ ও আহতদের স্মরণে যশোরে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার পতনের সাড়ে তিন মাসের অধিক সময় পার হলেও ষড়যন্ত্র থেমে নেই। ফ্যাসিস্টের দোসররা এই সমাজেই অবস্থান করছে। ফ্যাসিবাদের পতনের মধ্য দিয়ে যে বিজয় এবং জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে, সেটি নস্যাৎ করার পায়তারা করছে তাদের দোসররা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সর্বাত্মক সহায়তা করতে হবে। আগামীতে সকলের সহযোগিতায় সুষ্ঠ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হবে। সেই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদেরকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দিতে হবে। যারা আহত হয়ে এখনো চিকিৎসাধীন রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদেরকে প্রয়োজনে বিদেশে চিকিৎসা করাতে হবে। একইসাথে ফ্যাসিবাদের দোসরদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান বক্তারা।
স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম। বক্তৃতা করেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর আব্দুল মজিদ, পুলিশ সুপার জিয়া উদ্দিন, বিজিবির ৪৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী, যশোর সেনাবাহিনীর পুলেরহাট ক্যাম্প কমান্ডার মেজর সঞ্জয়ন, সিভিল সার্জন ডাক্তার মাহমুদুল হাসান, জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আবু জাফর, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, শহীদ তৌহিদুল ইসলামের পিতা আব্দুল জব্বার মোল্লা, শহীদ ইমতিয়াজ আহমেদ জাবিরের পিতা নওশের আলী, শহীদ আব্দুল্লাহর পিতা আব্দুল জব্বার, যশোর জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক রাশেদ খান এবং সদস্য সচিব জেসিনা মুর্শেদ প্রাপ্তি।
স্মরণসভা পরিচালনা করেন যশোরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা ইসলাম ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সোহানুর রহমান।