শিরোনাম |
ধুমপান এবং তামাকজাত দ্রব্যের ক্ষতিকর প্রভাব ও প্রতিকার বিষয়ে রাজশাহীতে সাংবাদিকদের নিয়ে দিনব্যাপী কর্মশালা করেছে বাংলাদেশ ব্লাইন্ড মিশন। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাজশাহী নগরীর একটি রেস্টুরেণ্টে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র (হু) দেয়া তথ্যের উল্লেখ করে বলা হয়, তামাকজাতদ্রব্য ও ধুমপানের কারণে প্রতিবছর ৮০ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করেন।
আর একই কারণে বছরে বাংলাদেশে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।এতে অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকগণ ধুমপান এবং তামাকজাত দ্রব্যের ক্ষতিকর প্রভাব ও প্রতিকার বিষয়ে বিভিন্ন সুপারিশ ও পরামর্শ উপস্থাপন করেন।
কর্মশালায় বলা হয়, তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে প্রতিকার পেতে বিভিন্ন ধরণের বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।
এজন্য উন্মুক্তস্থানে ধুমপান না করা ,ধুমপান এবং তামাকদ্রব্য কেনা-বেচায় ও উৎপাদনে আইনের কঠোর প্রয়োগ, সন্তানদের/পরিবারের সদস্যদের সাথে ধুমপানের ক্ষতিকর দিক নিয়ে কাউন্সিলিং, ধুমপান ছাড়তে উৎসাহ প্রদানের জন্য পুরস্কৃত করা, তামাক জাতীয় দ্রব্যের ওপর অধিকহারে করারোপ করা, মিডিয়ায় ধারাবাহিকভাবে তামাক এবং ধুমপান বিরোধীসংবাদ ও লেখা তুলে ধরা এক্ষেত্রে কার্যকর ভ‚মিকা রাখতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করেনতারা।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্লাইন্ড মিশনের খন্দকার আবেদুল ইসলাম।
কর্মশালাটি পরিচালনা এবং ফেসিলিটেশন করেন বিশিষ্ট কনসালটেন্ট শুভাশীষ চন্দ্র মহন্ত ও রোগতত্ত্ববিদ শামসুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন খন্দকার মোহাম্মদ নাসিরুজ্জামান ও বিবিএম’র তারেক মাহমুদ।
এতে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা, টেলিভিশন চ্যানেলএবং অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকগণ অংশ নেন। এছাড়া বাংলাদেশ ব্লাইন্ড মিশনের কর্মকর্তারা এতে উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় জানানো হয়, হু-এর তথ্য মতে, প্রতিবছর ৮০ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। ২০২২ সালের এক গবেষণা অনুসারে, বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ধূমপানের হার ২৮.৬ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষদের মধ্যে ধূমপানের হার ৪৭.৭ শতাংশ এবং নারীদের মধ্যে ধূমপানের হার ৮.৭ শতাংশ। ধূমপানের কারণে মৃত্যুর হার দিন দিন বাড়ছে। ২০২১ সালের এক গবেষণা অনুসারে, বাংলাদেশে ধূমপানের কারণে প্রতি বছর প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে পুরুষদের মৃত্যু হার ২০.৮ শতাংশ এবং নারীদের মৃত্যু হার ০.৯ শতাংশ।