gramerkagoj
মঙ্গলবার ● ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
gramerkagoj
Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ২৯ বস্তা টাকা, গণনা চলছে
প্রকাশ : শনিবার, ৩০ নভেম্বর , ২০২৪, ১০:৩৭:০০ এএম
কাগজ ডেস্ক:
GK_2024-11-30_674a9699eb2b8.jpg

কিশোরগঞ্জ শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ১১টি লোহার বাক্সে এবার পাওয়া গেছে ২৯ বস্তা টাকা। সাথে পাওয়া গেছে বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনার গয়না। ৩ মাস ১৪ দিন পর শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় এ দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এখন চলছে গণনার কাজ। গণনায় অংশ নিয়েছেন প্রায় ৪০০ জনের একটি দল।
এসময় মসজিদ কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান, পুলিশ সুপার মো. হাছান চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিজাবে রহমত ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রুবেল মাহমুদের উপস্থিতি ছিলেন।
সর্বশেষ ১৭ আগস্ট দানবাক্সে পাওয়া গিয়েছিল ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা। সঙ্গে বেশ কিছু বিদেশি মুদ্রা ও সোনা-রুপার গহনা। প্রতি তিনমাস পরপর দানবাক্স খোলা হয়। তবে এবার খোলা হয়েছে তিন মাস ১৩ দিন পর।
জানা গেছে, পাগলা মসজিদ কমপ্লেক্সের নূরুল কোরআন হাফিজিয়া মাদাসার ১২৮ জন ছাত্র, ৩৫ জন শিক্ষক ও স্টাফ, আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়ার ১৫০ জন ছাত্র, রূপালি ব্যাংকের ৭৫ জন স্টাফ টাকা গণনার কাজে অংশ নিয়েছেন। দেশি মুদ্রার পাশাপাশি পাওয়া গেছে বেশ কিছু বিদেশি মুদ্রা এবং সোনা-রুপার অলংকারও। কেউ কেউ ৫০০ টাকা নোটের বান্ডেলও (৫০ হাজার টাকা) দান করেছেন।
দানবাক্সের বাইরেও মানতকারীরা বিভিন্ন জাতের গবাদি পশু, হাঁস-মুরগি, কবুতর, দুধ ও সবজি দান করে থাকেন। এগুলি উন্মুক্ত নিলামে বিক্রি করে ব্যাংক হিসাবে জমা রাখা হয়।
জেলা প্রশাসক ও মসজিদ কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান বলেছেন, দান বাক্সে পাওয়া টাকা থেকে অসহায় জটিল রোগীদের অনুদান দেওয়া হয়। মসজিদ কমপ্লেক্স মাদ্রাসার ১৩০ জন এতিম ছাত্রের খরচসহ মসজিদ পরিচালনার খরচও মেটানো হয়। জমানো টাকা থেকে পুরুষ ও মহিলাদের নামাজের আরও দুটি শেড নির্মাণ করা হবে। এছাড়া মসজিদ কমপ্লেক্সের সম্প্রসারণের কাজও করা হবে।

আরও খবর

Ad for sale 225 x 270 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
🔝